ইন্ডাস্ট্রিতে কীর্তি সুরেশের বয়স খুব একটা বেশি নয়। ২০০০ সালে শিশুশিল্পী হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু হলেও নায়িকা হিসেবে অভিষেক হয় ২০১৩ সালে। এখনই কীর্তি জনপ্রিয়তার তুঙ্গে। ভারতের দক্ষিণি ছবি দেখেন, অথচ তাঁকে পছন্দ করেন না এমন দর্শক খুঁজে পাওয়া কঠিন। মায়াবি চেহারার এই অভিনেত্রী যেমন রূপের মুগ্ধতা ছড়ান, তেমনি তাঁর অভিনয়ের জাদুতে মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখেন সবাইকে।
সিনে পরিবারে জন্ম কীর্তি সুরেশের। বাবা জি সুরেশ কুমার মালায়লাম ছবির নামকরা প্রযোজক, মা মিনাকা জনপ্রিয় তামিল অভিনেত্রী। তাই তাঁর এই ভুবনে আসাটা অনেকটা অনুমেয়। তবে, কীর্তি চেয়েছিলেন ডিজাইনার হিসেবে ক্যারিয়ার গড়তে। ভায়োলিন নিয়েও ছিল অনেক স্বপ্ন। শেষ পর্যন্ত অভিনয়েই জয় করলেন সবার মন।
নায়িকা হয়ে প্রথম অভিনয় মালায়লাম ‘গীতাঞ্জলি’ ছবিতে দ্বৈত চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন এ ছবিতে। নতুন হিসেবে তাঁর অভিনয় প্রশংসিত হলেও সেভাবে সাড়া জাগায়নি ছবিটি। পরের বছরই কীর্তির ক্যারিয়ারে আসে টার্নিং পয়েন্ট। ‘রিং মাস্টার’ ছবিতে অন্ধ মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করে প্রশংসিত হন। ছবিটি দারুণ ব্যবসাসফল হয়। ফলে অন্যান্য ইন্ডাস্ট্রি থেকেও তাঁর ডাক আসে। ২০১৪ সালে তিনি তামিল ছবিতে অভিনয় করেন। সেই ছবির নাম ‘ইধু এন্না মায়াম’।
২০১৫ সাল থেকে তুমুল ব্যস্ততা আর জনপ্রিয়তার সঙ্গে তামিল, তেলুগু ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করছেন কীর্তি সুরেশ। একের পর এক সফল ছবি দিয়ে নিজেকে নিয়ে গেছেন সাফল্যের চূড়ায়। কীর্তি অভিনীত ছবিগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘নেনু সাইলাজা’, ‘রাজিনি মুরুগান’, ‘থোড়ারি’, ‘রেমো’, ‘বাইরাভা’, ‘পামভু সাত্তাই’, ‘নেনু লোকাল’, ‘অগ্নিথাভাসি’, ‘মাহান্তি’, ‘সীমা রাজা’, ‘সরকার’, ‘মানমাধুদু ২’ ইত্যাদি।
অল্প দিনের ক্যারিয়ার হলেও কীর্তি সুরেশের প্রাপ্তির পাল্লা বেশ ভারী। ‘মাহান্তি’ ছবিতে অনবদ্য অভিনয় করে কীর্তি সুরেশ অর্জন করেন ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। একই ছবিতে অভিনয়ের জন্য তিনি জিতেছেন জি সিনে অ্যাওয়ার্ড তেলুগু, সাউথ ইন্ডিয়ান ইন্টারন্যাশনাল মুভি অ্যাওয়ার্ড ও ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড-সাউথ।
কীর্তির হাতে এখন একাধিক ছবি। ‘গুড লাক সাখি’, ‘সারাকু ভারি পাতা’, ‘সানি কাইইধাম, ‘ভোলা শংকর’, ‘ভাশি’, ‘দাসারা’ ছবিগুলো মুক্তির অপেক্ষায় আছে।