অবৈধ ইটভাটা বন্ধে ঢাকার ধামরাইয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার দিনভর অভিযান চালিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তামজীদ আহমেদ এ ভ্রাম্যমাণ আদালত চালিয়ে উপজেলার নয়টি ইটভাটার চুল্লি গুঁড়িয়ে দিয়েছেন। এ সময় আটটি ইটভাটার মালিকের কাছ থেকে ৫৮ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। মালিক গা ঢাকা দেওয়ায় একটি ইটভাটা থেকে জরিমানা আদায় করা সম্ভব হয়নি।
অভিযানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে সহায়তা করেন অধিদপ্তরের ঢাকা জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক জহিরুল ইসলাম তালুকদারসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা।
গতকাল দুপুর ১২টার দিকে আদালত প্রথম অভিযান চালান উপজেলার জলশিং এলাকার পিউর ব্রিকসে। অবৈধভাবে ইট পোড়ানোর অভিযোগে ভাটাটির চুল্লির অধিকাংশ গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। ভাটার মালিককে ২০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এরপরই ওই এলাকার মা ও মা স্টার ব্রিকসের চুল্লি ভাঙচুর করে ১২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
বেলা দেড়টায় ভ্রাম্যমাণ আদালত জলশিং এলাকার জয়বাংলা ব্রিকসে অভিযান চালিয়ে ছয় লাখ টাকা জরিমানা করেন। এর আগে ভাটাটির আংশিক গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।
বেলা সাড়ে ৩টায় সুতিপাড়া এলাকার এসবিএন ব্রিকস নামের দুটি ইটভাটায় অভিযান চালান ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় একটি ভাটার মালিককে ছয় লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। অপরটিকে দুই লাখ টাকা জরিমানা হরা হয়। এর পরপরই পাশের কালামপুর এলাকার বিবিসি ব্রিকসে অভিযান চালিয়ে ছয় লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এর আগে ভাটাটির চুল্লি ভেঙে দেওয়া হয়।
বিকেল ৪টায় ডাউটিয়া এলাকার সান ব্রিকসে অভিযান চালিয়ে চুল্লি ভেঙে দেওয়া হয়। ভাটার মালিককে ছয় লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। পরে পাশের হালিমা ব্রিকসের চুল্লি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। তবে ভাটার মালিক গাঁ ঢাকা দেওয়ায় ওই ভাটা থেকে জরিমানা আদায় করা সম্ভব হয়নি।
অভিযান শেষে জহিরুল ইসলাম তালুকদার বলেন, রাজধানীর চারপাশের বায়ুদূষণ রোধে হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী অবৈধ ইটভাটা বন্ধে অভিযান চালানো হচ্ছে। এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।