চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার কাঞ্চনা ইউনিয়নের বুড়াইছড়ি খালের ওপর নির্মিত রাজঘাটা সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এ সেতু দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে পথচারীদের।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে দেবে যাওয়া সেতুটি নতুন করে নির্মাণের জন্য জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন অফিসে ধরনা দিয়েছেন তাঁরা। কিন্তু কোনো প্রতিকার পাননি।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, পাকিস্তান আমলে সেতুটি নির্মাণ করা হয়। কয়েক বছর ধরে সেতুটির নিচের পিলার হেলে পড়েছে। দেবে গেছে সেতু। বিকল্প মাধ্যম না থাকায় আমিলাইষ, কাঞ্চনাসহ চার গ্রামের বাসিন্দাদের ঝুঁকি নিয়ে এ সেতু দিয়ে চলাচল করতে হয়।
এ সেতু দিয়ে প্রতিদিন ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, টমটম, সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলে গ্রামের লোকজন যাতায়াত করেন।
স্থানীয়দের আশঙ্কা, হেলে পড়া সেতুটি যেকোনো সময় ধসে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। তাই তাঁরা দাবি করে বলেন, দ্রুত সরকার যেন হেলে পড়া সেতুর স্থানে নতুন একটি সেতু নির্মাণ করে দেয়। এতে হাজারো মানুষের ভোগান্তি লাঘব হবে।
কাঞ্চনা ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোহাম্মদ ইছহাক বলেন, বুড়াইছড়ি খালের ওপর নির্মিত সেতুটি দেবে গেছে। গ্রামের লোকজন ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছে। এ সেতুর কারণে এখানকার কৃষক তাঁদের উৎপাদিত ফসল ঘরে তোলা ও বাজারে বিক্রি করা নিয়ে বিপাকে পড়েন।
স্থানীয় বাসিন্দা হাসিনা বেগম ও জান্নাত আরা বলেন, ‘কয়েক বছর হলো, সেতুটি দেবে গেছে। নতুন সেতু হবে শুনছি কয়েক বছর ধরে। বছরের পর বছর চলে যাচ্ছে। আমরা ঝুঁকি নিয়ে পার হচ্ছি। তবে সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে না। ভাঙা সেতু দিয়ে পার হতে খুবই ভয় লাগে। সরকারের কাছে আমাদের আবেদন, দ্রুত একটি সেতু যেন নির্মাণ করে দেয়। এতে গ্রামের মানুষের যাতায়াতে কষ্ট দূর হবে।’
কাঞ্চনা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. রমজান আলী বলেন, ‘রাজঘাটা এলাকায় বুড়াছড়ি খালের ওপর পুরোনো সেতুটি হেলে গেছে। নতুন সেতু নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবর আবেদন করেছি অনেক আগেই। উপজেলা প্রকৌশলী এসে পরিদর্শন করে গেছেন। প্রকল্প এলে সেতু নির্মাণকাজ শুরু হবে। তবে এখনো তাঁর বাস্তবায়ন দেখছি না।’
সাতকানিয়া উপজেলা প্রকৌশলী পারভেজ সারাওয়ার হোসেন বলেন, ‘সেতুটি নির্মাণের জন্য দরপত্র হয়েছে। এটির দৈর্ঘ্য হবে ৩০ মিটার। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে নির্মাণকাজ শুরু হবে বলে আশা করছি।’