হোম > ছাপা সংস্করণ

‘প্রেমের ফাঁদে ফেলে অপহরণ, মুক্তিপণ না দেওয়ায় হত্যা’

নরসিংদী প্রতিনিধি

নরসিংদীর মনোহরদীতে প্রেমের ফাঁদে ফেলে অপহরণের পর হত্যা করা হয় সিরাজগঞ্জের স্নাতকের শিক্ষার্থী ও অনলাইন কাপড় ব্যবসায়ী মো. মিঠু হোসেনকে। এ ঘটনায় এক নারী, তাঁর স্বামীসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করার পর হত্যার রহস্য উদ্‌ঘাটন হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা পুলিশ। গতকাল বোরবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান নরসিংদীর পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীম। এর আগে গত বৃহস্পতিবার অজ্ঞাতনামা হিসেবে মিঠু হোসেনের (২৪) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

পুলিশ ও নিহত মিঠুর পরিবারের সদস্যরা জানান, মিঠু অনলাইনে শাড়ির ব্যবসা করতেন। ফেসবুকে পরিচয় হওয়া দুই বন্ধুর ভরসায় নরসিংদীর বাবুরহাটের শাড়ির সম্পর্কে ধারণা নিতে গত বুধবার নরসিংদীতে যান তিনি। সেখানে পৌঁছে বুধবার সন্ধ্যায় পরিবারের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন তিনি। এরপর ওই রাতে মিঠুর ফোন থেকে কল করে কয়েকজন জানান, তাঁরা মিঠুকে অপহরণ করেছেন। এ সময় পরিবারের কাছে এক লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন তাঁরা। রাতে মিঠুর ফোন থেকে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ৫০ বারের মতো কথা বলার পর ফোনটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরদিন বৃহস্পতিবার সকালে মনোহরদী উপজেলার একদুয়ারিয়া ইউনিয়নের হুগলিয়াপাড়ার একটি খড়ের গাদার পাশ থেকে অজ্ঞাতনামা একজনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। লাশ উদ্ধারের খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার সিরাজগঞ্জ থেকে মনোহরদী থানায় গিয়ে ছবি দেখে মরদেহটি মিঠু হোসেনের বলে শনাক্ত করে পরিবার। পরে এই হত্যার রহস্য উদ্‌ঘাটনে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় মাঠে নামে নরসিংদী জেলা পুলিশ।

সংবাদ সম্মেলনে নরসিংদীর পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীম জানান, মিঠা হোসেনকে অপহরণ ও হত্যায় জড়িত সন্দেহে গতকাল ভোরে গাজীপুরের শ্রীপুর ও নরসিংদীর শিবপুর থেকে শাহনাজ আক্তার পপি ও তাঁর স্বামী আব্দুল বাতেন এবং কাকন খান নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করার পর খুনের রহস্য উদ্‌ঘাটন হয়। ফোনে কথা বলা ও ফেসবুকের মাধ্যমে প্রেমের ফাঁদে ফেলে অপহরণ, পরে মুক্তিপণ না দেওয়ায় হত্যা, শেষে খড়ের গাদায় মিঠা হোসেনের মরদেহ গুম করার বিষয় পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে জানান পপি। এই ঘটনায় জড়িত তাঁর স্বামীসহ সহযোগী প্রতারক চক্র। এই চক্রের মূল হোতা হানিফ নামের একজন বলে জানান পপি।

কাজী আশরাফুল আজীম বলেন, গাজীপুরের শ্রীপুরের মিঠালু এলাকার পপি ও তাঁর স্বামী বাতেন, শিবপুরের দুলালপুরের আশুটিয়া এলাকার কাকন খানসহ তিন-চারজনের একটি প্রতারক চক্র রয়েছে। এই চক্রের দলনেতা পপি নিজের ছদ্মনামে সুন্দরী মেয়েদের ছবি ব্যবহার করে একাধিক ফেসবুক আইডি খোলেন। পরে এসব আইডির মাধ্যমে টার্গেট করা বিভিন্ন লোকদের ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠিয়ে বন্ধুত্ব ও প্রেমের ফাঁদে ফেলে নির্দিষ্ট জায়গায় দেখা করার প্রস্তাব দেওয়া হয়। চক্রের ফাঁদে পা দিয়ে কেউ এগিয়ে এলে তাকে আটক করে মারধর ও মুক্তিপণ দাবি করেন তাঁরা।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ