মুলাদীতে বাটামারা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে গত রোববার সারা দিন ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোট দিয়েছেন। কিন্তু রাত কেটেছে আতঙ্ক নিয়ে। থেমে থেমে বিস্ফোরণ, চিৎকারে সাধারণ মানুষের মধ্যে শঙ্কা তৈরি হয়। অনেকেই এগুলোকে হাত বোমা ও বোমার বিস্ফোরণ বলে দাবি করেছেন। পুলিশ সূত্র অবশ্য বোমা বিস্ফোরণের ব্যাপারে কিছু জানা নেই বলেছে।
তবে বিস্ফোরণে এখন পর্যন্ত হতাহতের সংবাদ পাওয়া যায়নি।
তয়কা গ্রামের আব্দুল হান্নান বলেন, ‘ভোটে সহিংসতার আশঙ্কা ছিল। বিষয়টি প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছিল। পরে বরিশাল অতিরিক্ত পুলিশ সুপারসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ বিপুল পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ভোট কেন্দ্রগুলোতে উপস্থিত ছিলেন। তাই নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পেরেছি। তবে সন্ধ্যার পরে ফলাফল ঘোষণা শেষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ভোটকেন্দ্র ত্যাগ করার পরই বিস্ফোরণের শব্দ শুরু হয়। এতে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে।’
চরসাহেবরামপুর গ্রামের আলী আশরাফ বলেন, ভোটের দিন শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট দিতে পেরে ভালো লেগেছিল। মনে হচ্ছিল আর কোনো ভয় কিংবা আতঙ্কের বিষয় নেই। সন্ধ্যার পরে বিস্ফোরণের শব্দে আবার শঙ্কা তৈরি করেছে। প্রতিটি নির্বাচনের পরেই বাটামারা ইউপিতে সহিংসতার শঙ্কা থাকে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিজয়ী ইউপি সদস্য প্রার্থী দাবি করেন, নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থীরা ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে ফলাফল ঘোষণার পর থেকেই বিস্ফোরণের ঘটাচ্ছে। তারা ভোটারদের হুমকিও দিচ্ছে। অনেক ভোটার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।
এক পরাজিত সদস্য প্রার্থী উল্টো অভিযোগ করেন, বিজয়ী প্রার্থীরা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে বিজয় উল্লাস করে তাঁদের ওপর দায় চাপাতে চাইছেন।
মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসএম মাকসুদুর রহমান বলেন, ‘ভোটের দিন ভোট কেন্দ্রগুলোতে বিপুল সংখ্যক আইন শৃঙ্খলা বাহিনী এবং ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন। পাঠগ্রহণকারী কর্মকর্তাদের নিয়ে তারা নির্বাচন কার্যালয়ে এসেছেন। এর পরে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে কিনা সে বিষয়ে জানা নেই। তবে কেউ সহিংসতা কিংবা আতঙ্ক সৃষ্টির চেষ্টা করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’