নাটোরের লালপুরে পরীক্ষামূলকভাবে সমতলে কাজুবাদাম ও কফি চাষ শুরু করেছে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ। এ অঞ্চলের আবহাওয়া চাষের উপযোগী হওয়ায় উপজেলার কৃষকদের কাজুবাদাম ও কফি চাষের জন্য উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।
উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কাজুবাদাম ও কফি চাষে উদ্বুদ্ধ করতে ‘কাজুবাদাম জাত ও প্রযুক্তি প্রদর্শনী’ হিসেবে ২০২১ সালের অক্টোবর মাসে কাজুবাদাম চাষে ৫০ শতক জমিতে পাঁচজন ও কফি চাষে ৩৩ শতক জমিতে পাঁচজন কৃষককে সহায়তা দেয় কৃষি বিভাগ। কাজুবাদাম-চাষি উপজেলার লালপুরের মোখলেসুর রহমান, ভবানীপুর-চাঁদপুরের সাইদুর রহমান, পালিদেহার তারেক মাহমুদ, কেশবপুরের মাজহারুল ইসলাম লিটন ও ডহরশৈলার আবুল কাশেম। কফিচাষি উপজেলার মনিহারপুর গ্রামের আনিসুর রহমান, ওয়ালিয়া মধ্যপাড়ার হাসান ইমাম, ভবানীপুরের রিমা খাতুন, টিটিয়ার শামীমুল ইসলাম ও দাঁইড়পাড়ার আবু সাইদ।
কেশবপুর গ্রামের কাজুবাদাম-চাষি মাজহারুল ইসলাম লিটন জানান, গত বছর অক্টোবর মাসে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর তাঁর জমিতে রোপণের জন্য এম-২৩ জাতের কাজুবাদামের চারা দেয়। গত বছর ১৩ অক্টোবর ‘কাজুবাদাম জাত ও প্রযুক্তি প্রদর্শনী’ হিসেবে তিনি ৫০ শতক জমিতে ৮০টি চারা/কলম রোপণ করে চাষ শুরু করেন।
ভবানীপুর গ্রামের কফিচাষি রিমা খাতুন জানান, পরীক্ষামূলক কফি চাষ করতে পেয়ে আনন্দিত তিনি। ফলন ও লাভজনক হলে আরও বেশি জমিতে চাষ করবেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম জানান, বাংলাদেশ কাজুবাদাম ও কফি গবেষণা উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ কাজুবাদাম চাষে কৃষকদের বিনা মূল্যে চারা, উন্নত প্রযুক্তি ও পদ্ধতিগত সহায়তা দিচ্ছে।
বাংলাদেশ কাজুবাদাম ও কফি গবেষণা উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ প্রকল্পের সিনিয়র মনিটরিং কর্মকর্তা রেজাউল করিম রতন বলেন, ‘বর্তমানে বান্দরবানসহ পাহাড়ি এলাকায় কাজুবাদাম ও কফি চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে। চাহিদার তুলনায় উৎপাদন অপ্রতুল হওয়ায় সমতলে কাজুবাদাম ও কফি চাষ সম্প্রসারণে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। লালপুরের আবহাওয়া চাষের উপযোগী হওয়ায় উপজেলার কৃষকদের কাজুবাদাম ও কফি চাষের জন্য উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।’
রেজাউল করিম রতন আরও বলেন, ‘ব্যাপক হারে চাষ বৃদ্ধি, কৃষকদের প্রশিক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণের ব্যবস্থা করতে পারলে দেশের চাহিদা মিটিয়ে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা আয় সম্ভব।