নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে এক পরিকল্পনা ছিল, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে আরেকটা থাকবে। দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মতো দল। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে অনেক ভুল ছিল, জিততে চাইলে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে একই ভুল করা যাবে না। দক্ষিণ আফ্রিকা টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের চেয়ে অনেক এগিয়ে।
সিডনির উইকেট স্পিনারদের জন্য কিছু থাকতে পারে বলে যেটা শোনা যাচ্ছে, সত্য বলতে, আইসিসি তাদের টুর্নামেন্টে রানের উইকেট তৈরি করে। ওয়ানডে বা টি-টোয়েন্টি যে খেলাই হোক, ওরা চায় রান হোক, দর্শক মজা পাক। ওরা চায় ম্যাচ টাই হোক, শেষ বলে গিয়ে ফল নির্ধারণ হোক। দেখবেন দক্ষিণ আফ্রিকার ফাস্ট বোলাররা ঘণ্টায় ১৪০-১৪৫-১৫০ কিলোমিটার বেগে বল করবে।
এই বোলিংয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের ব্যাটিং যদি বলেন, তাড়াহুড়ো করলে ২০ ওভারও খেলতে পারবেন না। খেলতে হলে আপনার প্রথম একটা টার্গেট থাকতে হবে, যদি আগে ব্যাটিং করি, ২০টা ওভার খেলে রান যেখানেই দাঁড়ায়, ভালোভাবে শেষ করব। তাহলে দেখবেন, একটা ভালো স্কোর দাঁড়াবে। যদি প্রথম থেকেই চিন্তা করেন যে মেরে ১৯০, ২০০ বা ১৮০ করবেন, ওই টার্গেটে পারবেন না।
সবার সব ম্যাচই গুরুত্বপূর্ণ। এখানে কেউ কাউকে ছাড় দেবে না যে আমি বাদ পড়েছি, তোমাকে পয়েন্টটা দিয়ে গেলাম। দক্ষিণ আফ্রিকা সব সময়ই সেমিফাইনাল-ফাইনালে খেলার দল। সুতরাং ওদের প্রস্তুতিও ওই রকম। ওরা এখান থেকেই ফিরে আসার চেষ্টা করবে। বাংলাদেশের এখন ২ পয়েন্ট, ওদের ১ পয়েন্ট। দক্ষিণ আফ্রিকা জিতলে এখন ৩ পয়েন্ট হয়ে যাবে। সুতরাং এখানে কেউ কাউকে ছাড় দেবে না। এখানে রানরেটট পরে দেখা যাবে, আগে ম্যাচ জিততে হবে। জিতলেই বলে দেবে, আপনি কোন পজিশনে থাকবেন।
বাংলাদেশের পেসাররা ভালো করলেও এটা বলা মুশকিল যে দিনটা কার পক্ষে যায়। দিনটা নিজের করে নিতে হবে। ম্যান অব দ্য ম্যাচ একজনই হয়। কিন্তু এখানে তো পারফর্ম দুই-তিনজন করে। ওই একজনকে সেভাবে পারফর্ম করতে হবে। দল হিসেবে বাংলাদেশকে ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে। ভালো ক্রিকেট, হ্যাঁ আমরা নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে জিতেছি; কিন্তু অত ভালোভাবে জিতিনি। আশা করেছিলাম আরও ভালোভাবে জিতব।
দক্ষিণ আফ্রিকা কিন্তু একই ভুল করবে না, ছোট দলগুলো যে ভুল করে। ওদের ভুলের সংখ্যা খুবই কম। এ জন্যই তারা সেমিফাইনাল-ফাইনাল খেলে। দক্ষিণ আফ্রিকা বাংলাদেশের চেয়ে অনেক শক্তিশালী দল।
তবে চাই, বাংলাদেশ ভালো ক্রিকেট খেলুক। বৃষ্টি বাধা না হয়ে পুরো ৪০ ওভার খেলা হোক, তারপর বোঝা যাবে ফল কী হবে। বৃষ্টি হলে গতকাল দেখাই তো গেছে ইংল্যান্ড দলের কী অবস্থা হয়েছে।