‘ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রশাসন হেফাজত ইসলামের নির্দেশে চলে, তাই আমি ব্যর্থ সাংসদ’ এমন মন্তব্য করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর ও বিজয়নগর) আসনের সাংসদ ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি র. আ. ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শহরের শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বরে জেলা জাতীয় শ্রমিক লীগের দ্বিবার্ষিক সাধারণ সভায় তিনি এ কথা বলেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি হেফাজত ইস্যু নিয়ে প্রশাসনের পাশাপাশি আওয়ামী লীগ নেতা এবং সাংসদদেরও কঠোর সমালোচনা করেন।
দ্বিবার্ষিক সাধারণ সভায় জেলা শ্রমিক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আলাউদ্দিন আলালের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল-মামুন সরকার, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মুজিবুর রহমান। স্বাগত বক্তব্য দেন জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ মালেক চৌধুরী।
সাংসদ র. আ. ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এ সময় বলেন, ‘আমাকে একজন ব্যর্থ সাংসদ হিসেবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে বিদায় নিতে হবে। কারণ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রশাসন হলো হেফাজতের দাস। এখানে প্রশাসনের লোকেরা হেফাজতের নির্দেশে চলে। কাকে ছাড়বে, কাকে ধরবে, সেটা পুলিশকে নির্দেশ দেয় হেফাজত। জেলার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, গোয়েন্দা বাহিনী কেউ কাজের নয়। তা না হলে হেফাজতের আসামিরা এখনো গ্রেপ্তার হয়নি কেন?’
প্রসঙ্গত, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে ঢাকার বায়তুল মোকাররম ও চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসার সংঘর্ষের ঘটনার প্রতিবাদে গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সহিংসতা চালান হেফাজতের নেতা–কর্মী ও সমর্থকেরা। এ সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনসহ অর্ধশতাধিক স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।