চলতি সপ্তাহে কাপ্তাইসহ রাঙামাটির বিভিন্ন এলাকায় প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়েছে। কাপ্তাই হ্রদের পানি বেড়েছে। এতে কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৫টি ইউনিটের মধ্যে ৪টি ইউনিট দিয়ে বর্তমানে বিদ্যুৎ উৎপাদন সচল রয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত শেষ ২৪ ঘণ্টায় ১৬৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে। এর পুরো বিদ্যুৎই জাতীয় গ্রিডে সঞ্চালন করা হচ্ছে। কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী এ টি এম আব্দুজ্জাহের গতকাল সকালে মোবাইল ফোনে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
প্রকৌশলী আব্দুজ্জাহের বলেন, আপাতত ২ নম্বর ইউনিটটি বন্ধ রয়েছে। সেটি চালু করা সম্ভব হলে আরও ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে।
বিদ্যুৎ কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার ১ নম্বর ইউনিট থেকে ৪৪ মেগাওয়াট, ৩ নম্বর ইউনিট থেকে ৪৭ মেগাওয়াট, ৪ নম্বর ইউনিট থেকে ৪০ মেগাওয়াট এবং ৫ নম্বর ইউনিট থেকে ৩৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে।
হ্রদে রুল কার্ভ (পানির পরিমাপ) অনুযায়ী পানি থাকার কথা ১০৯ ফুট মীন সী লেভেল (এমএসএল)। কিন্তু গতকাল সকাল পর্যন্ত হ্রদে পানি আছে ১০৬ দশমিক ৬৭ ফুট এমএসএল। অর্থাৎ নির্দিষ্ট পরিমাপের চেয়ে কাপ্তাই হ্রদে এখন প্রায় ৪ ফুট পানি কম রয়েছে।
বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক আব্দুজ্জাহের জানান, অব্যাহত ভারী বৃষ্টি, পাহাড়ি ঢল ও উজান থেকে পানির ধারা নেমে আসায় কাপ্তাই হ্রদে পানির উচ্চতা এই মুহূর্তে বৃদ্ধি পাচ্ছে। যদি পানির লেভেল ১০৭ ফুট এমএসএল অতিক্রম করে তাহলে এই কেন্দ্রের স্পিল ওয়ের গেইট খুলে পাশ্ববর্তী কর্ণফুলি নদীতে পানি ফেলে দেওয়া হবে।