খুলনার কয়রায় বর্ষাকালীন তরমুজ চাষে সাফল্য অর্জন করেছেন মহারাজপুর গ্রামের কলেজশিক্ষক শাহাবাজ আলী। তরমুজের মৌসুম শেষ হলেও বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরামর্শে তরমুজ চাষে উদ্বুদ্ধ হন তিনি। লবণাক্ত মাটিতে বড় আকারের সুস্বাদু তরমুজ উৎপাদন করে বাজারে তোলায় বিভিন্ন মহলে প্রশংসিত হন তিনি। দামও ভালো পাচ্ছেন।
জানা গেছে, ৪০ শতাংশ জমিতে পরীক্ষামূলক তরমুজ চাষ করেছেন শাহাবাজ আলী। এখন মাচায় মাচায় বারি-১ জাতের তরমুজ শোভা পাচ্ছে। ওই শিক্ষক সকালে দুই ঘণ্টা তরমুজের খেত দেখাশোনা করেন। কলেজ থেকে ফিরে বিকেলে আবারও লেগে যান সবজির তদারকিতে।
এ বিষয়ে প্রভাষক শাহাবাজ সাংবাদিকদের বলেন, তাঁকে এই তরমুজ চাষে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন কয়রা কৃষি গবেষণা বিভাগের বৈজ্ঞানিক সহকারী জাহিদ হাসান। তিনি গত জুনের প্রথমেই পরীক্ষামূলকভাবে বারি-১ জাতের ৬০০ তরমুজ বীজ রোপণ করেন এবং রোপণের ৮০ দিন পর থেকে ফসল তুলতে পারছেন। অত্যন্ত সুস্বাদু এই তরমুজের বাজারে অনেক চাহিদা রয়েছে।
তিনি বলেন, প্রতিটি তরমুজ গড়ে ৬ থেকে ৮ কেজি ওজনের হয়েছে এবং প্রতি কেজি পাইকারি ৫০ থেকে ৫৫ টাকায় বিক্রি করতে পারছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আছাদুজ্জামন সম্প্রতি সরেজমিনে শাহাবাজ আলীর তরমুজ খেতের মাচা পরিদর্শন করেন এবং শত শত তরমুজ দেখে আশ্চর্য হন। কৃষি ইনস্টিটিউট সরেজমিন গবেষণা বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. হারুনর রশিদও সম্প্রতি এই তরমুজ খেত পরিদর্শন করেছেন। এ সময় হারুনর রশিদ বলেন, বারি তরমুজ-১ হাইব্রিড না হওয়ায় কৃষকেরা খেয়ে নিজেরা বীজ সংরক্ষণ করতে পারবেন। দেশের অন্যান্য এলাকার চেয়ে সুস্বাদু, অধিক পরিমাণে এবং বড় ধরনের তরমুজ উৎপাদনের সাফল্য দেখে মুগ্ধ হয়েছেন বলে জানান তিনি।