হোম > ছাপা সংস্করণ

উপকূলের ৪৮ শতাংশ কৃষক খাদ্যসংকটে

শেকৃবি প্রতিনিধি

বরগুনা জেলার বেতাগী উপজেলার ক্ষুদ্র কৃষক কুদ্দুস মোল্লা। তিন মেয়ে ও এক ছেল নিয়ে তাঁর ছয় সদস্যের পরিবার। বসতভিটা ছাড়া তাঁর একমাত্র সম্বল একখণ্ড ধানি জমি। কয়েক বছর আগেও এ জমির ফসল তাঁর পরিবারের খাদ্যের জোগান দিত। তবে প্রতিনিয়ত জমিতে লবণাক্ততার পরিমাণ বাড়ায় জমির উৎপাদন ক্ষমতা আগের চেয়ে কমে গেছে। কয়েক বছর থেকে ধানের দাম কমলেও বেড়েছে উৎপাদন খরচ। এতে কুদ্দুস মোল্লা তাঁর পরিবারের সদস্যদের তিন বেলা খাদ্যের জোগান দিতে হিমশিম খাচ্ছেন।

জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাবে কুদ্দুস মোল্লার মতো বছরের শেষ দিকে উপকূলীয় অঞ্চলে শতকরা ৩৯ থেকে ৪৮ শতাংশ কৃষকের পরিবার খাদ্য সংকটে থাকে। সম্প্রতি বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের সমস্যাগুলোর প্রতিক্রিয়ায় উপকূলীয় অঞ্চলের কৃষকদের দুর্বলতা, খাদ্য নিরাপত্তা এবং অভিযোজন কৌশল অনুসন্ধান করতে পটুয়াখালী ও বরগুনা জেলার ১২০টি করে পরিবারের ওপর পরিচালিত এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। গবেষণাটি করেছে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) কৃষি অর্থনীতি বিভাগ।

গবেষণায় বলা হয়েছে, বৈশ্বিক উষ্ণতা এবং সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির কারণেই উপকূলীয় অঞ্চলের মাটিতে সমুদ্রের লবণাক্ত পানির অনুপ্রবেশ, ভূগর্ভস্থ পানিতে লবণাক্ততা বৃদ্ধি, নদীর তীরের ক্ষয়, জলোচ্ছ্বাস ও পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাতের অভাবে জমির স্বাভাবিক উৎপাদন ক্ষমতা ব্যাহত হচ্ছে।

গবেষকদের তথ্য অনুযায়ী, অক্টোবর থেকে জানুয়ারি মাস পর্যন্ত উপকূলীয় কৃষকদের খাদ্য সংকট চরমে থাকে। অক্টোবর থেকে নভেম্বর মাসে ২৫ শতাংশ, নভেম্বর থেকে ডিসেম্বর মাসে ৪৮ শতাংশ এবং ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারি মাসে ৩৯ শতাংশ কৃষকের পরিবারে খাদ্য সংকট থাকে।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ