গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে হরিনাথপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে একটি কেন্দ্রে সহিংসতা ও মালামাল ছিনতাই চেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার আতঙ্কে পুরুষশূণ্য হয়ে পড়েছে ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কয়েকটি গ্রাম।
গতকাল বুধবার ওই ওয়ার্ডের হরিনাবাড়ী ও মধ্যপাড়া গ্রাম ঘুরে দেখা যায়, সবখানেই সুনসান নীরবতা। পুলিশের ঘন ঘন টহলে কোনো পুরুষ বাড়িতে থাকছেন না। নারী শিশু-কিশোরদের দেখা মিললেও গা ঢাকা দিয়েছেন গ্রামের পুরুষেরা।
এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে হরিনাথপুর ইউপির ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য পদে পরাজিত প্রার্থী আব্দুল লতিফ (৩৮) ও তার সমর্থক শুকরু মিয়াকে (৩৩) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পাশাপাশি মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তার পুলিশি টহল অব্যাহত রয়েছে।
পলাশবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুদ রানা আজকের পত্রিকাকে জানান, হরিনাবাড়ী ২ নম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে সহিংসতার ঘটনায় সংশ্লিষ্ট প্রিসাইডিং অফিসার প্রদীপ কুমার বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করেন। ওই মামলায় পরাজিত মেম্বার প্রার্থী আব্দুল লতিফসহ ৫০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও ১৪০ থেকে ১৫০ জনকে আসামি করা হয়।
উল্লেখ, গত ২৮ নভেম্বর ২ নম্বর হরিনাবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট গণনা শেষে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। কিন্তু ভোট গণনা সঠিক হয়নি এমন অভিযোগে পরাজিত মেম্বার প্রার্থী আব্দুল লতিফের পক্ষের লোকজন কেন্দ্রটি ঘিরে ফেলেন।
পরে তাঁরা প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, পুলিশ ও আনসার সদস্যদের কেন্দ্রত্যাগে বাধা দেন। এ সময় ইটপাটকেল নিক্ষেপসহ নির্বাচনী মালামাল ছিনতাইয়ের চেষ্টা করা হয় বলে জানায় পুলিশ।