জেনেটিক কারণে স্তন-ক্যানসার হতে পারে। বিআরসিএ১ ও বিআরসিএ২ জিন মিউটেশনের ফলে স্তন-ক্যানসার হতে পারে।
পরিবারের দুজন বা তার বেশি নিকটাত্মীয়ের স্তন-ক্যানসার বা ওভারিয়ান ক্যানসার থাকলে কিংবা ৪০ বছরের কম বয়সী একজন নিকটাত্মীয়েরও স্তন-ক্যানসার থাকলে এই রোগ হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
খুব অল্প বয়সে ঋতুস্রাব শুরু হলে এবং বেশি বয়সে বন্ধ হলে এ রোগ হতে পারে।
আগে কোনো কারণে রেডিওথেরাপি পেয়ে থাকলে স্তন-ক্যানসারের আশঙ্কা বাড়ে।
শরীরের এক স্থানে ক্যানসার হলে, অন্য স্থানেও ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে।
পরিবর্তনযোগ্য কারণ
বেশি বয়স পর্যন্ত বিয়ে না করা এবং ৩০ বছর বয়সের পর নারীদের প্রথম সন্তানের মা হওয়া।
সন্তানকে নিয়মিত বুকের দুধ না খাওয়ানো।
অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতা।
শারীরিক পরিশ্রম না করা।
র্ভনিরোধক ওষুধ স্তন-ক্যানসারের আশঙ্কা বাড়ায়।
অ্যালকোহল পান করা।
স্তন-ক্যানসারের লক্ষণ
স্তনে অথবা বগলের নিচে কোনো চাকা বা গোটা অনুভূত হওয়া।
স্তনের আকার-আকৃতির পরিবর্তন হওয়া।
স্তনের কোনো অংশ অস্বাভাবিকভাবে ফুলে যাওয়া বা ভারী বোধ হওয়া।
স্তনের ওপরের ত্বক লালচে হওয়া বা ফুসকুড়ি দেখা যাওয়া।
স্তনের ত্বক ভেতরের দিকে ঢুকে যাওয়া বা কুঁচকে যাওয়া।
স্তনবৃন্ত ভেতরের দিকে ঢুকে যাওয়া।
স্তনবৃন্ত দিয়ে রক্ত অথবা কোনোপ্রকার জলীয় পদার্থ নিঃসৃত হওয়া।
পরীক্ষা-নিরীক্ষা
মেমোগ্রাম।
স্তন ও বগলের আলট্রাসনোগ্রাম।
এফএনএসি।
কোর বায়োপসি বা ট্রুকাট বায়োপসি ও হিস্টোপ্যাথলজি।