খানাখন্দে ভরা সড়ক। সামান্য বৃষ্টিতে গর্তে পানি জমে থাকে। এসব গর্তের ফলে প্রায় ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। প্রতিনিয়ত ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন। এ দুরবস্থা বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার বাঁধাল-কচুয়া সড়কের। সড়কের এ ভোগান্তি নিরসনে দ্রুত সংস্কারের দাবি জানান স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার গোপালপুর, প্রতাপপুর, বিষখালী, পদ্মনগরসহ আশপাশের অনন্ত ১০ গ্রামের মানুষের চলাচলের প্রধান সড়ক এটি। প্রতিদিন হাজারো মানুষ চলাচল করে এ সড়ক দিয়ে। খানাখন্দের কারণে ঝুঁকি নিয়ে চলতে হয় পথচারীদের। এমনকি শিক্ষার্থীরাও ঝুঁকি নিয়ে স্কুলে যাচ্ছে।
স্থানীয়রা আরও জানান, তিন বছর আগে সড়কটি সর্বশেষ সংস্কার হয়। কিন্তু কচুয়া-সাইনবোর্ড সড়কের কাজ চলাকালীন মালবাহী পরিবহন যাতায়াত করায় সড়কটি বেশি দিন টেকসই হয়নি। ফলে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়।
এমনকি কয়েকটি স্থানে সড়ক ধসে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় পিচও উঠে গিয়েছে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. হুমায়ুন কবির বলেন, ‘কচুয়া ও বাঁধাল যাতায়াতের একমাত্র সড়ক এটি। তাই প্রতিনিয়ত আমাদের অনেক দুর্ভোগের শিকার হতে হয়। রাস্তাটি সংস্কারের দাবি জানাই।’
স্থানীয় বাসিন্দা মো. সাব্বির হাসান বলেন, এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন হাজারো মানুষ চলাচল করে। একদিকে কচুয়া উপজেলা সদর অন্যদিকে বাধাল বাজার। এ কারণে সড়কটি অনেক ব্যস্ততম। সড়কের এ দুরবস্থার কারণে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। ভোগান্তি নিরসনে দ্রুত সংস্কার করার দাবি জানাই।
গোপালপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও কচুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ‘আমি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরে সড়কটি সংস্কারে জন্য অনেক বার জানিয়েছি। সর্বশেষ তারা আমাকে জানিয়েছে খুব দ্রুত কাজ শুরু হবে।’
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপজেলা প্রকৌশলী মো. আনিছুর রহমান বলেন, এই সড়কটি পুনর্নির্মাণের জন্য দরপত্র আহ্বান ও ঠিকাদার নির্বাচন করা হয়েছে। দ্রুত এ সড়কের কাজ শুরু হবে।