হোটেলের সীমানাপ্রাচীরের দেয়ালে টাঙানো হয়েছে বিভিন্ন ছবি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কর্মময় জীবন এবং ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের নানা স্মৃতি মনে করিয়ে দেবে এগুলো। ভেতরে রাখা আছে কয়েকটি কম্পিউটার, যেখানে ক্লিক করলে দেখা যাবে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বিভিন্ন প্রতিবেদন। এসব দিয়ে সাজানো হয়েছে মুজিব কর্নারটিকে। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে এমন বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল।
গতকাল শনিবার সকালে শাহবাগে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে মুজিব কর্নার ও ওয়াল ব্র্যান্ডিং (দেয়ালচিত্র) উদ্বোধন করেন বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী।
পর্যটন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতির মুক্তির প্রশ্নে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে অনেক গুরুত্বপূর্ণ মিটিং করেছেন। এ কারণে হোটেলটির ঐতিহাসিক গুরুত্ব রয়েছে। আজ বঙ্গবন্ধুর শৈশব, কৈশোর, কর্মজীবন, রাজনৈতিক জীবন তুলে ধরতে হোটেল কর্তৃপক্ষ যে আয়োজন করেছে, তা সাধুবাদ পাওয়ার মতোই।’
প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে নিয়ে যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, তা আজ বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাস্তবায়নের পথে। ইতিমধ্যে আমরা খাদ্যে, বিদ্যুতে ও তথ্যপ্রযুক্তিতে অনেক সাফল্য অর্জন করেছি। বহির্বিশ্বে আমাদের দেশের মর্যাদা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা এমডিজিতে সাফল্য পেয়েছি। আশা করি, ভবিষ্যতে এসডিজিতেও ভালো করব।’
হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের কার্যক্রমের কারণে বিদেশি পর্যটকেরা শেখ মুজিব সম্পর্কে জানতে পারবেন জানিয়ে পর্যটন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘যত দিন বাংলাদেশ থাকবে, তত দিন হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল তার অর্পিত দায়িত্ব পালন করে যাবে। বিদেশি অতিথি যাঁরা এই হোটেলে আসেন, তাঁদের অনেকেরই কৌতূহল থাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন নিয়ে। বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি ধরে রাখার জন্য আজ আনুষ্ঠানিকভাবে মুজিব কর্নার স্থাপন করা হয়েছে। আমার বিশ্বাস, মুজিব কর্নারের কারণে বিদেশ থেকে আসা পর্যটকেরা মুজিব সম্পর্কে ও মুক্তিযুদ্ধে তাঁর ঐতিহাসিক ভূমিকা সম্পর্কে জানতে পারবেন।’
এরপর প্রতিমন্ত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে হোটেলের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের রক্তদান কর্মসূচিও পরিদর্শন করেন।
আরও উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুল কাইয়ুম প্রমুখ। মুজিব কর্নার উদ্বোধনের পর হোটেলের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা রক্তদান কর্মসূচিও শুরু করেন।