রমজান মাস এলেই বেড়ে যায় মুড়ির বেচাকেনা। বাংলাদেশে ইফতারিতে মুড়ি না হলে চলে না কারোরই। স্বাভাবিকভাবে এ কারণে এই মাসে মুড়ির উৎপাদনও তুলনামূলকভাবে বেড়ে যায়।
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ উপজেলার মুড়ি কারখানার শ্রমিকেরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। দিনরাত ২৪ ঘণ্টা চলছে মুড়ি উৎপাদন। গত বুধবার বিকেলে সিদ্ধিরগঞ্জের সুমিলপাড়া, মিজমিজি, মৌচাক, আদমজী এলাকার বিভিন্ন মুড়ি কারখানায় গিয়ে এমনই চিত্র দেখা যায়।
এসব মুড়ি কারখানার মালিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ জেলার চাহিদা পূরণ করে প্রতিদিন এখান থেকে বরিশাল, চাঁদপুর, ফরিদপুরসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে শত শত মণ মুড়ি সরবরাহ করা হয়। তাঁরা জানান, রমজানের বাড়তি চাহিদা এবং কিছু বেশি আয়ের জন্য ২৪ ঘণ্টাই চলে মুড়ির উৎপাদন।
মিলন হোসেন নামে মুড়ি কারখানার এক শ্রমিক বলেন, ‘বছরের অন্য সময়ের তুলনায় রমজান এলে আমাদের ব্যস্ততা বেড়ে যায়। রমজান মাস ছাড়া অন্যান্য সময় আমরা প্রতিদিন ৩৫–৪০ মণ মুড়ি উৎপাদন করে থাকি। আর রমজান মাস এলে ৭০–৮০ মণ মুড়ি উৎপাদন করে থাকি।’
মেসার্স মডার্ন ফুড প্রোডাক্ট নামে একটি মুড়ি কারখানার স্বত্বাধিকারী হামিদুল হক। ২০ বছর ধরে এ পেশায় জড়িত আছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘আগের রমজানগুলোয় এক মাস আগেই মুড়ির চাহিদা বাড়লেও এবারের রমজানে মাত্র ৩ দিন আগে চাহিদা বেড়েছে। অন্যান্য সময় কারখানায় ৩-৪ জন শ্রমিক কাজ করলেও রমজান মাসে ৮-৯ জন শ্রমিকের প্রয়োজন হয়।’