কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের বিলগাথুয়া সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত লিটন হোসেনের মরদেহ ১৫ দিন পর ফেরত দিয়েছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। গত শনিবার বিকেলে ভারতের নদীয়া জেলার ১৫১/১৪ এস পিলার সংলগ্ন এলাকায় পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাঁর লাশ ফেরত দেওয়া হয়।
পতাকা বৈঠককে বিজিবির পক্ষে নেতৃত্ব দেন ৪৭ বিজিবি ব্যাটালিয়ন অধীনস্থ প্রাগপুর কোম্পানি কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) নায়েক সুবেদার আমজাদ হোসেন। দৌলতপুর থানা-পুলিশের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন তেকালা ক্যাম্পের ইনচার্জ জিয়াউর রহমান। বিএসএফের পক্ষে নেতৃত্ব দেন ১৪১ বিএসএফ কমান্ড্যান্ট অধীনস্থ ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার হোগলবাড়িয়া থানার অন্তর্গত চরমেঘনা ক্যাম্পের ইনচার্জ এসি রাজেশ টিকে লাকরা। এ ছাড়া ভারতের করিমপুর থানার সিআই মো. ওমর ফারুক উপস্থিত ছিলেন। পতাকা বৈঠক শেষে বিএসএফের পক্ষ থেকে লিটনের লাশ বিজিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে লাশ বিজিবি লিটনের ছোট ভাই শিপন বিশ্বাসের কাছে বুঝিয়ে দেয়।
উল্লেখ্য, গত ৫ মার্চ রাতে ভারত থেকে মালামাল পাচার করে বিলগাথুয়া সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় বিএসএফের গুলিতে লিটন নিহত হন। পরে তাঁর মরদেহ নিয়ে যায় বিএসএফ। নিহত লিটন দৌলতপুর উপজেলার প্রাগপুরের বিলগাথুয়া গ্রামের মাঠপাড়ার আকবর বিশ্বাসের ছেলে।
লাশ ফেরতের বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেন প্রাগপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসরাফুজ্জামান মুকুল। তিনি জানান, শনিবার এশার নামাজের পর লিটনের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। তবে বিজিবির প্রাগপুর কোম্পানি কমান্ডার আমজাদ হোসেন লাশ হস্তান্তর নিয়ে কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
দৌলতপুর থানার ওসি এস এম জাবীদ হাসান জানান, সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত লিটনের মরদেহ শনিবার বিকেলে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।