আফগানিস্তানকে সন্ত্রাসীদের আস্তানা বানাতে দেওয়া যাবে না। সেখানকার তালেবান শাসককে ব্যবহার না করে প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে হবে, তাদের নিজেদের মতো বিকাশ হতে দিতে হবে। গতকাল আফগানিস্তান নিয়ে দিল্লির বৈঠকে প্রকাশিত রাশিয়া, ইরানসহ প্রতিবেশী ৭ দেশের যৌথ ঘোষণাপত্রে এমনটাই বলা হয়েছে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা (এনএসএ) ও অনুষ্ঠানের সভাপতি অজিত দোভাল বলেন, আফগানিস্তান অস্থিতিশীল হলে তা শুধু সেখানকার নাগরিকদের নয়, প্রতিবেশী দেশগুলোর জন্যও ভোগান্তির কারণ হবে। বিশেষ করে লস্কর-ই-তৈয়বা ও জইশ-ই-মুহাম্মদের মতো কট্টর জঙ্গিদের সঙ্গে তালেবানদের বন্ধুত্ব নিয়ে ভারতের আপত্তির কথা তুলে ধরেন তিনি।
২০ বছরের যুদ্ধ শেষে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের চলে যাওয়ার আগেই আগস্টে কাবুল দখল করে তালেবান। এরপর দেশটির নিরাপত্তাসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে প্রতিবেশী ৭টি দেশ নিয়ে দিল্লিতে প্রথমবারের মতো এ আলোচনা অনুষ্ঠিত হলো। বৈঠকে যোগ দিতে পাকিস্তান ও চীনকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। কিন্তু তারা যোগ দেয়নি। ইতিপূর্বে ২০১৮ ও ২০১৯ সালে ইরানেও এ ধরনের বৈঠক হয়েছে।
এবারের অনুষ্ঠানে রাশিয়া, ইরান, কাজাখস্তান, কিরগিজ, তাজিকিস্তান, তুর্কমিনিস্তান এবং উজবেকিস্তানের শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তারা যোগ দিয়েছেন। পরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিদেশি অতিথিদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।