হোম > ছাপা সংস্করণ

যমুনায় পানি বৃদ্ধি, বিলীন হলো আরও ১৮ বাড়িঘর

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি বাড়ছেই। একই সঙ্গে বাড়তে শুরু করেছে অভ্যন্তরীণ নদ-নদীর পানি। ফলে বন্যার আশঙ্কা করছে নদীতীরবর্তী অঞ্চলের মানুষ। পানি বাড়ার কারণে এনায়েতপুরে তীব্র নদীভাঙন শুরু হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকালে এনায়েতপুরের ব্রাহ্মণগ্রাম এলাকায় ১৮টি ঘরবাড়ি নদীতে বিলীন হয়েছে। ভাঙনের মুখে রয়েছে আরও স্থাপনা।

গত ২৪ ঘণ্টায় (গত বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে গতকাল শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত) যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ হার্ড পয়েন্ট এলাকায় ১০ সেন্টিমিটার বেড়েছে, যা বিপৎসীমার ২ দশমিক ১২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এদিকে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে জেলার অভ্যন্তরীণ নদ-নদীসহ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। গতকাল সকাল সাড়ে ১০টার দিকে হঠাৎ করে চৌহালী উপজেলার খাজা ইউনুস আলী বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষিণে ব্রাহ্মণগ্রাম এলাকায় যমুনা নদীতে তীব্র ঘূর্ণাবর্তের কারণে ভাঙন শুরু হয়।

এতে মুহূর্তের মধ্যে ব্রাহ্মণগ্রামের সাহেব আলী, হাসান, শুকুর আলী, ফারুক হোসেন নজরুল, পাষাণ আলী, ইলা খাতুন, ইউসুফ আলীর বাড়িসহ অন্তত ১৮টি বসতভিটা নদীতে বিলীন হয়। এ ছাড়া হুমকির মুখে পড়েছে বহু বসতবাড়ি, শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান।

এ বিষয়ে স্থানীয় আব্দুর রহমান বলেন, ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে স্থায়ীভাবে ভাঙন রোধ করা হোক। এখনই ভাঙন বন্ধ না হলে বিলীন হয়ে যাবে বিশাল এলাকা।

খুকনী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুল্লুক চাঁদ মিয়া জানান, ভাঙন এলাকা রক্ষায় জরুরি ভিত্তিতে স্থায়ী বাঁধের কাজ দ্রুত করা হোক। এ ছাড়া চৌহালীর দক্ষিণাঞ্চল ও বেলকুচি উপজেলায় বড়ধুল চরে নদীভাঙন দেখা দিয়েছে। নদীভাঙন প্রতিরোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন প্রতিরোধের চেষ্টা চালাচ্ছে।

পাউবোর সূত্রে জানা গেছে, ভাঙন এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। আতঙ্কের কিছু নেই।

যমুনা নদীর পাশাপাশি জেলার অভ্যন্তরীণ ফুলঝোড়, ইছামতী, করতোয়া, বড়াল ও চলনবিলে পানি বাড়তে শুরু করেছে। এতে নদীতীরবর্তী চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলে বন্যার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। এসব এলাকার ফসলি জমির কাঁচা পাট, তিল, বাদাম, আখ ও শাকসবজি বাগানে পানি উঠতে শুরু করেছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে এসব ফসল নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় রয়েছেন কৃষকেরা।

এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী আব্দুল ওয়াহাব বলেন, ‘ভাঙনের বিষয়টি আমার জানা নেই। এ বিষয়ে কিছু বলতে পারব না।’

জানতে চাইলে সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলামকে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলে তিনি ধরেননি।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ