ভোলার লালমোহনে নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ার প্রকোপ কমছে না। আক্রান্তদের বেশির ভাগই শিশু। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, এক মাস ধরে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেশি। এদিকে শয্যা কম থাকায় একই বেডে একাধিক শিশুকে চিকিৎসা দিতে হচ্ছে। আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে এ ধরনের রোগে শিশুরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে বলে জানান স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গিয়ে দেখা যায়, ৫০ শয্যার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শুধু ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত রোগী ভর্তি আছে ৪০ জন। গতকাল নতুন করে ভর্তি হয়েছে ১০ জন। যাদের মধ্যে বেশির ভাগই ১ মাস থেকে ২ বছর বয়সী শিশু। এদিকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বর্তমানে চিকিৎসা নিচ্ছে ৮০ জন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তথ্যমতে, এক মাস ধরে বেড়েছে এ রোগের প্রকোপ। হাসপাতালের বহির্বিভাগ ও ইমার্জেন্সি থেকে প্রতিদিন ৮০ থেকে ১০০টি শিশু চিকিৎসা নিচ্ছে। যাদের অবস্থা গুরুতর, তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হতে হচ্ছে।
উপজেলার চতলা এলাকা থেকে দেড় বছরের মেয়েকে নিয়ে চিকিৎসা নিতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসেছেন মো. সোহাগ। তিনি বলেন, ‘কয়েক দিন ধরেই মেয়ের ডায়রিয়া। এলাকার পল্লিচিকিৎসক থেকে ওষুধ নিয়ে খাইয়েছি। এরপরও ডায়রিয়া না কমায় হাসপাতালে এসেছি ডাক্তার দেখাতে।’
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নার্সিং সুপারভাইজার তাসলিমা বেগম জানান, ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া আক্রান্ত রোগী ভর্তি আছে ৪০ জন। গতকাল নতুন করে ভর্তি হয়েছে ১০ জন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মো. মহসিন খান বলেন, আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণেই এক মাস ধরে এ রোগের প্রকোপ বেড়েছে। হাসপাতালে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হওয়া অধিকাংশই শিশু। যেসব শিশুকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হতে হচ্ছে, তাদের কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা আন্তরিকতার সঙ্গে চিকিৎসা দিচ্ছেন।