মাদারীপুরে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় তিনজন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ তিনজনকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। গত সোমবার সন্ধ্যা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত সদর উপজেলার কেন্দুয়া ইউনিয়নের তালতলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গুলিবিদ্ধরা হলেন-দত্ত কেন্দ্রয়া গ্রামের বাবুল মজুমদার, কুদ্দুস ও কায়সার।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, মাদারীপুর সদর উপজেলার কেন্দুয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে শাহ মো. রায়হান ও সাগর মিয়া চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। এতে শাহ মো. রায়হান বিজয়ী ও সাগর মিয়া পরাজিত হন। এর জেরে গত সোমবার সন্ধ্যায় পরাজিত প্রার্থী সাগর মিয়ার লোকজন বিজয়ী চেয়ারম্যান শাহ মো. রায়হানের সমর্থকদের বাড়িতে হামলা, লুটপাট ও অগ্নি-সংযোগ করেন। এতে দু’পক্ষের সংঘর্ষ শুরু হলে তিনজন গুলিবিদ্ধসহ ২০ জন আহত হন। এদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ বাবুল মজুমদার, কুদ্দুস ও কায়সারকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
অপরদিকে, সোমবার বিকেলে মস্তফাপুর ইউনিয়নের চাপাতলী গ্রামের করিম বাজার এলাকায় পরাজিত মহিলা সদস্য পদ প্রার্থী সুফিয়ার লোকজন বিজয়ী হাসিয়া বেগমের সমর্থক আনোয়ার মাতুব্বরের বাড়িতে হামলা চালান। এতে হামলাকারীরা তাঁর বসতঘর ভাঙচুর করে আলমারি থেকে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে যান বলে অভিযোগ করেন আনোয়ার মাতুব্বর। এ সময় আনোয়ার মাতুব্বরের স্ত্রীসহ পাঁচজন আহত হয়েছেন।
এ ব্যাপারে মাদারীপুরের পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল বলেন, ‘নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার বিষয়ে আমরা কঠোর অবস্থান নিয়েছি। কোথাও সংঘর্ষের খবর পেলে দ্রুত ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। কোনোভাবেই সংঘর্ষ হলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’