উজিরপুর মালিকান্দা মাহমুদিয়া আলিম মাদ্রাসার গভর্নিং বডির নির্বাচনে ভোটার তালিকায় অসংগতির অভিযোগে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত রোববার উজিরপুর সহকারী জজ আদালতে অভিভাবক সদস্য মো. শহিদুল ইসলাম, মো. সিদ্দিকুর রহমান ও হেলেনা বেগম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। আদালতের বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য রেখে দেন।
মামলার অন্যান্য বিবাদীরা হলেন, মালিকান্দা মাহমুদিয়া আলিম মাদ্রাসার গভর্নিং বডির সভাপতি মো. মিজানুর রহমান, মাদ্রাসার অধ্যক্ষ, শিক্ষক প্রতিনিধি আবুল হোসেন, অভিভাবক সদস্য রুহুল আমিনসহ ১৩ জন।
মামলার বরাতে আইনজীবী আজাদ রহমান জানান, গত ১১ নভেম্বর প্রিসাইডিং কর্মকর্তা কর্তৃক ঘোষিত তফসিলে ১১১৪ নম্বর ভোটার মো. মনিরুজ্জামানের ছেলের অভিভাবক হিসেবে দেখানো হলেও তাঁর ছেলেই নেই। তাকে ভোটার করা হয়েছে। রফিকুল ইসলাম তোতার পুত্রকে ২য় ও ৩য় শ্রেণিতে অধ্যয়নরত দেখিয়ে দুইবার অর্থাৎ তালিকার ৩৬ ও ৪৮ নম্বর ভোটার করা হয়েছে। ১২৬ ও ১৩৬ নম্বর ভোটার হিসেবে নাম আছে মো. আবুল কালামের, তাঁর কন্যা নুসরাত জাহান অমিকে ৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণির ছাত্রী দেখানো হয়েছে। এ ছাড়া ১,৫, ১৬,২৯ ও ১১৫ নম্বর ভোটার ও শিক্ষার্থীদের নাম-ঠিকানা সঠিক নয়। তফসিলে মনোনয়ন প্রত্যাহারের ১০ দিনের মধ্যে নির্বাচনের দিন ধার্য করেছেন। যা বিধিমালার পরিপন্থী। তাই খসড়া ভোটার তালিকা, চূড়ান্ত ভোটার তালিকা এবং নির্বাচনী তফসিল অবৈধ ও বেআইনি দাবি করে মামলাটি দায়ের করা হয়।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এবিএম জাহিদুল ইসলাম অভিযোগ বিষয়ে বলেন, ‘ভোটার তালিকা দেখার দায়িত্ব আমার না। আগে যারা কমিটিতে ছিলেন তাঁরা এটা করেছে। এখন আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে আমাকে যে নির্দেশ দেবেন সে অনুযায়ী কাজ করব।’