রাজশাহীর পুঠিয়ায় বিগত বছরের তুলনায় এ বছর রেকর্ড পরিমাণ জমিতে বিভিন্ন জাতের সরিষা চাষ করা হয়েছে। স্থানীয় চাষিরা বলছেন, বর্তমানে বাজারে সরিষার দাম ও চাহিদা ভালো। তাই অনেকেই সরিষা চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন।
এদিকে উপজেলা কৃষি অফিস বলছে, আবহাওয়া অনুকূল থাকায় এ বছর কৃষকেরা সরিষার ফলন ভালো পাবেন।
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা গোলাম সাকলাইন বলেন, চলতি বছর উপজেলায় রেকর্ড পরিমাণ জমিতে সরিষার চাষ করা হয়েছে। এ বছর বিভিন্ন প্রজাতির সরিষা চাষ হয় ১ হাজার ৭৩০ হেক্টর জমিতে, যা গত বছরের তুলনায় প্রায় সাড়ে ৪ হেক্টর বেশি। আর প্রতি হেক্টরে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ দশমিক ২ টন। এর মধ্যে বারি ৯, ১৪, ১৫, ১৭ ও টরি ৭ জাতের সরিষা সবচেয়ে বেশি চাষ হয়েছে। চলতি মৌসুমে অনুকূল আবহাওয়া বিরাজ করায় এবং চাষিদের পাশাপাশি কৃষি কর্মকর্তাদের যথাসময়ে তদারকি থাকায় এবার সরিষার বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
পুঠিয়া সদর এলাকার সরিষাচাষি আব্দুল কাদের বলেন, দুই বছর ধরে বাজারে সরিষার চাহিদা অনেক বেড়েছে। সেই সঙ্গে চাষিরা দামও ভালো পাচ্ছেন। ফলে এবার অনেক চাষি সরিষা চাষে আগ্রহী হয়েছেন। এবার গত বছরের তুলনায় ফলন বেশি হতে পারে। তিনি আরও বলেন, বানেশ্বর হাটে পুরোনো সরিষা ৩ হাজার ২০০ টাকা এবং নতুন সরিষা ৩ হাজার টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে।
সরিষা ব্যবসায়ী আবু তাহের বলেন, বর্তমানে লোকজন অনেক সচেতন। তাঁরা সয়াবিন তেল পরিহার করছেন। আর সরিষার তেল ব্যবহারে আগ্রহী হচ্ছেন। ফলে বাজারে সরিষার চাহিদা বেড়েছে। চাষিরাও দাম ভালো পাচ্ছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শামসুন্নাহার ভূঁইয়া বলেন, বিগত বছরগুলোতে সরিষার দাম কিছুটা কম ছিল। ফলে কৃষকেরা সরিষা চাষে তেমন আগ্রহী হতেন না। আর দুই বছর ধরে দাম ভালো পাওয়ায় অনেক চাষি এখন সরিষা চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সরিষার খেতে এখন পর্যন্ত কোনো বিপর্যয় ঘটেনি। চাষিদের পাশাপাশি কৃষি কর্মকর্তাও মাঠে সার্বক্ষণিক তদারকি করছেন। আশা করা যায়, এ বছর সরিষার ফলন ভালো পাওয়া যাবে।