হিমেল হাওয়ায় ঝালকাঠির রাজাপুরে জেঁকে বসেছে শীত। রাতে ও সকালে টুপটাপ করে ঝরছে শিশির। ঘন কুয়াশাচ্ছন্ন সকালই জানান দিচ্ছে ঠান্ডা জেঁকে বসার কথা। আর শীতের প্রকোপে চাহিদা বেড়েছে গরম কাপড়ের। জমে উঠেছে গরম কাপড়ের বাজার।
ঠান্ডায় কাবু হয়ে পড়ছেন শিশু ও বৃদ্ধরা। অগ্রহায়ণের শেষের দিকে শীতের তীব্রতা বাড়তে শুরু করেছে। এ সময় সাধারণত এমন ঠান্ডা অনুভূত হয় না। অগ্রহায়ণের শেষে রাত গভীর হতেই কাঁথা-কম্বল নিতে বাধ্য করছে কনকনে শীত। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত কুয়াশার পাশাপাশি ঝিরঝির শিশিরকণায় মাটি ভিজে যাচ্ছে। মধ্যরাত থেকে ভোরের সূর্যের আলো ফোটার আগ পর্যন্ত সবকিছুই ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়ে থাকছে। ঘন কুয়াশার কারণে কর্মজীবী মানুষেরা পড়ছেন বিপাকে। এ দিকে আগাম ঠান্ডার কারণে লেপ-তোশকের দোকানেও ভিড় বেড়েছে।
কয়েক দিন আগেও কারিগরেরা বসে দিন কাটিয়েছেন। কয়েক দিনের ব্যবধানে হঠাৎ শীত বেড়ে যাওয়ায় ব্যস্ততাও বেড়েছে কারিগরদের।
লেপ-তোশকের একজন কারিগর রবিউল ইসলাম বলেন, ‘কুয়াশা ও বাতাসে ঠান্ডা বেড়ে গেছে। ঠান্ডার কারণে লেপ-তোশকের চাহিদাও বেড়েছে। বেশ কিছুদিন থেকে দোকানে কাজ বেড়ে যাওয়ায় ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে।’
রিকশাচালক সৈয়দ আকনও জানালেন শীতের তীব্রতার কথা। তিনি বলেন, ‘গত বছরেও এ সময় এমন শীত তেমন একটা বোঝা যায়নি। এ বছর অগ্রহায়ণ মাসের শেষ থেকেই শীতের তীব্রতা দেখা যাচ্ছে। শীত বেশি থাকলে রিকশা নিয়ে বের হওয়া কষ্ট হয়ে যায়। তবুও পেটের দায়ে কাজে বের হতে হয়। এ দিকে কনকনে শীতের কারণে এলাকায় বেড়েছে গরম কাপড়ের চাহিদা।’
রাজাপুর সদরের ফুটপাথসহ উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে বসেছে কাপড়ের বাজার। এসব বাজারে গরম কাপড় বিক্রি করছেন ইব্রাহীম খলিফা, কবির হোসেন ও সজিব হোসেন। তাঁরা জানান, ঠান্ডা বেড়ে যাওয়ায় গরম কাপড়ের ব্যবসা ভালোই হচ্ছে।
ফাতিমা, সঙ্গিতা বড়াল ও রেজাউল নামের গরম কাপড় ক্রেতা বলেন, ‘যে পোশাক বিপণিবিতানে চড়া দামে বিক্রি হয়, তা ফুটপাতে অনেক কম দামে কিনতে পারছি।’