দলছুট এক বন্য হাতি কক্সবাজারের চকরিয়ার লোকালয়ে এসে তাণ্ডব চালিয়েছে। বন্য হাতিকে তাড়াতে গিয়ে হাতির পায়ে পিষ্ট হয়ে মোহাম্মদ রহমত আলী ওরফে মোহাম্মদ আলী (৪০) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ সময় ওই বন্য হাতি বেশ কিছু বাড়ি ভাঙচুর করেছে। এ ছাড়াও ফসল নষ্ট করেছে।
গতকাল সোমবার ভোরে দলছুট বন্য হাতিটি চকরিয়া উপজেলার ভেওলা মানিকচর (বিএমচর) ও কৈয়ারবিল ইউনিয়নের খিলছাদে এ তাণ্ডব চালায়। মোহাম্মদ আলী ডুলাহাজারা ইউনিয়নের রিংভং ছগিরশাহকাটা এলাকার আব্দুস সালামের ছেলে। তিনি ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জের অধীনে ভিলেজার ছিলেন।
দলছুট বন্য হাতিকে বনে ফেরাতে বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক, ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জ ও বনবিটের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং চকরিয়া থানা-পুলিশের পৃথক দল কাজ করছেন।
বন বিভাগ ও স্থানীয় লোকজন জানায়, ভোররাত পাঁচটার দিকে এক দলছুট বন্য হাতি বিএমচরের পাহাড়িয়াপাড়ার সবজি খেতে অবস্থান করছিল। কৃষকেরা সকালে খেতে গেলে হাতিকে দেখতে পায়। এ সময় স্থানীয় লোকজন হাতি দেখতে ভিড় করে। পরে সাফারি পার্ক, ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জ ও বনবিটের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং থানা-পুলিশের সেখানে যান।
এ সময় হাতিকে বনে ফেরাতে ভিলেজার মোহাম্মদ আলী কৌশল অবলম্বন করে খড়ে আগুন লাগিয়ে ওই বন্য হাতির দিকে ছুঁড়ে মারে। এ সময় হাতিটি মোহাম্মদ আলীর দিকে তেড়ে এসে তাঁকে পায়ে পিষ্ট করে গুরুতর আহত করে। বন বিভাগ ও পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে দায়িত্ব চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
ভেওলা-মানিকচরের বাসিন্দা ইমতিয়াজ আহমদ রাজীব বলেন, ‘ভোরে দলছুট বন্য হাতিটি এলাকায় এসে ব্যাপক তাণ্ডব বাড়িঘর ও ফসল নষ্ট করেছে। স্থানীয় লোকজন এখন খুব আতঙ্কে আছে।’
ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, ‘বন বিভাগের লোকজন ভিলেজারদের নিয়ে হাতিটিকে বনে ফেরাতে ঘটনাস্থলে যায়। এ সময় দলছুট বন্য হাতিকে ফেরাতে গিয়ে হাতির পায়ে পিষ্ট হয়ে বন বিভাগের ভিলেজার মোহাম্মদ আলী মারা যান। তাঁকে বন বিভাগের পক্ষ থেকে আর্থিক অনুদান দেওয়া হবে।’