ছয় বছর পর অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের (বিসিএল) ওয়ানডে সংস্করণ। সিলেটে গত পরশু শেষ হওয়া ম্যাচে বিসিবি দক্ষিণাঞ্চলকে ৬ উইকেটে হারিয়ে শিরোপা জিতেছে ওয়ালটন মধ্যাঞ্চল। লম্বা বিরতির পর ফেরা বিসিএল ওয়ানডে আবার কবে হবে, সেটা অবশ্য এখনই বলার উপায় নেই।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) টুর্নামেন্ট কমিটির সাদা বলের ক্রিকেটে আগ্রহ কম। আগামী মৌসুমে সাদা বলের বিসিএল হবে কি না এর নিশ্চয়তা তাই দিতে পারেননি টুর্নামেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান আহমেদ সাজ্জাদুল আলম ববি। বরং লাল বল বা বড় দৈর্ঘ্যের বিসিএলকেই অগ্রাধিকার দিচ্ছেন তিনি। সিলেটে খেলা দেখার ফাঁকে ববি আজকের পত্রিকাকে বলেছেন, ‘আমরা বেশি বেশি বড় দৈর্ঘ্যের ক্রিকেট খেলতে চাই। এ লক্ষ্য পূরণ হওয়ার পর আমরা অন্যগুলো নিয়ে চিন্তা করব।’
সর্বশেষ বিসিবির স্ট্যান্ডিং কমিটিতে যে কটিতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এসেছে, এর মধ্যে টুর্নামেন্ট কমিটি একটি। আট বছর কোনো কমিটির দায়িত্ব না পাওয়া ববি অবশেষে নিজের অভিজ্ঞতা, মেধা কাজে লাগানোর সুযোগ পেয়েছেন। এই পথচলায় তাঁর ‘ডেপুটি’ আরেক পরিচালক ও বাংলাদেশ দলের টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন। ববি জানান, শিগগিরই বৈঠকে বসবেন তাঁরা।
এ বৈঠকেই কমিটির ভবিষ্যৎ কার্যক্রমের একটা রূপরেখা তৈরি হবে। বৈঠকের আগে কমিটির প্রধান হিসেবে ববি নিজের লক্ষ্যের কথা বলেছেন, ‘আমূল পরিবর্তন হবে না। কিছু কার্যক্রম যোগ হবে। মাসখানেকের মধ্যে হয়তো সেসব আমরা জানিয়ে দিতে পারব। সম্ভাব্য সবকিছুই করব। দেশব্যাপী বেশি বেশি লঙ্গার ভার্সন খেলার চেষ্টা করব। ব্যক্তিগতভাবে চাই, আগামী পাঁচ-ছয় বছরের মধ্যে টেস্টে প্রথম পাঁচ দলের মধ্যে থাকতে।’
লক্ষ্যপূরণে ববিদের সীমাবদ্ধতা অনেক। মাঠ সংকট, উইকেটের মান নিয়ে প্রশ্ন, প্রতিদ্বন্দ্বিতার অভাব, তারকা ক্রিকেটারদের অনুপস্থিতি—দেশের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে সমস্যার অন্ত নেই। পথটা কঠিন হলেও অভিজ্ঞ সংগঠক ববি চ্যালেঞ্জটা নিতে চান।