আমতলী বকুলনেছা মহিলা ডিগ্রি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ফোরকান মিয়ার জালিয়াতি ঘটনায় আবার তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ গোলাম ফারুকের স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়।
চিঠিটি গত ১৮ নভেম্বর ইস্যু করা হলেও আমতলী এসে পৌঁছায় গত বৃহস্পতিবার। এতে বলা হয়েছে, ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। চিঠি পাওয়ার ১০ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশনাও দেওয়া হয়।
জানা গেছে, ফোরকান মিয়া বিএ (পাস) সার্টিফিকেট জালিয়াতি করে আমতলী বকুলনেছা মহিলা ডিগ্রি কলেজে ১৯৯৯ সালে ইসলামি শিক্ষা বিষয়ের প্রভাষক পদে চাকরি নেন। ২০১০ সালে তিনি জালিয়াতির মাধ্যমে ওই কলেজের অধ্যক্ষ পদে আসীন হন। অধ্যক্ষ পদে আসীন হওয়ার পর তিনি দুর্নীতি, নারী কেলেঙ্কারি, অর্থ আত্মসাৎ ও সার্টিফিকেট জালিয়াতিসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পরেন। ২০১৩ সালে তাঁর বিএ পাশের সার্টিফিকেট জালিয়াতির ঘটনা ফাঁস হয়ে যায়। পরে তিনি স্বেচ্ছায় কলেজের অধ্যক্ষ পদ থেকে পদত্যাগ করেন।
ঘটনার ৮ বছর পরে এ বছর জুলাই মাসে সুকৌশলে রাজনৈতিক প্রভাব খাঁটিয়ে মাকসুদা আক্তার জোসনাকে কলেজ কমিটির সভাপতি করে তিনি পুনরায় অধ্যক্ষ পদে বহাল হন। ফোরকানের পুনরায় অধ্যক্ষ পদে বহাল হওয়ায় ঘটনা তদন্তে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মজিবুর রহমান মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর আবেদন করেন। ওই আবেদনের প্রেক্ষিতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে পাঠানো হয়।
এ বিষয়ে সাবেক অধ্যক্ষ ফোরকান বলেন, ‘এখন পর্যন্ত তদন্তের কোনো চিঠি হাতে পাইনি।’
বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা কার্যালয়ের পরিচালক মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ‘কলেজের সাবেক অধ্যক্ষের জাল সার্টিফিকেট ও অধ্যক্ষ পদে পুনর্বহালের ঘটনা তদন্তে চিঠি পেয়েছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে ঘটনা তদন্তে সরেজমিনে যাব।’