রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সংস্কার প্রকল্পের বরাদ্দ ছিল ৬০০ কোটি টাকা। এ কাজে বেঁচে যাওয়া টাকা অতিরিক্ত খরচ দেখিয়ে আত্মসাৎ করতে চেয়েছিলেন দুই কর্মকর্তা। প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় হত্যার শিকার হন প্রকল্পের প্রকৌশলী সুব্রত সাহা।
গতকাল সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমন দাবি করেন চুয়েটের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা। এ সময় সুব্রত সাহার পরিবারের সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে সুব্রত সাহার বন্ধু রিয়াসাত সুমন বলেন, ‘হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সংস্কারের জন্য ৬০০ কোটি টাকার বাজেট এসেছিল। সুব্রত বিভিন্ন সময় আমাদের বলেছেন, হোটেলের প্লানিং অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দুই কর্মকর্তা মিলে এ অর্থ আত্মসাৎ করার চেষ্টা করছিলেন। এ জন্য তাঁরা বাজেটের অতিরিক্ত বিল তৈরি করে সেই বিলে সুব্রতকে স্বাক্ষর করার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন। কিন্তু এতে সুব্রত রাজি ছিলেন না। এর জেরে তাঁকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। কর্মক্ষেত্রে এসব হয়রানির কথা সুব্রত তাঁর স্ত্রীকেও বিভিন্ন সময় বলেছিলেন।’
লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, ঘটনার দুই মাস পার হলেও পুলিশ কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করা তো দূরের কথা, জিজ্ঞাসাবাদ পর্যন্ত করেনি। এক মাস আগে সুব্রত সাহার স্ত্রী নূপুর সাহার সঙ্গে কথা বলেছেন তদন্ত কর্মকর্তারা। তবে তারপরে মামলার আর কোনো অগ্রগতি নেই।
সুব্রত সাহার স্ত্রী নূপুর সাহা বলেন, ‘স্বামী মারা যাওয়ার পর একমাত্র মেয়েকে নিয়ে আর্থিক কষ্টে আছি। হোটেল কর্তৃপক্ষ এখনো পাওনা টাকা বুঝিয়ে দেয়নি।’
গত ২৫ মে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল চত্বর থেকে সংস্কার প্রকল্পের প্রকৌশলী সুব্রত সাহার রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। হোটেল কর্তৃপক্ষের দাবি, তিনি আত্মহত্যা করেছেন।
এ বিষয়ে ডিবির রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার আজিমুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, মামলার তদন্ত চলছে। তবে প্রাথমিক তদন্তে মনে হচ্ছে, সুব্রত সাহা আত্মহত্যা করেছেন।