কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরের বিভিন্ন এলাকায় ইরি-বোরো ধান চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের। উপজেলা কৃষি অফিস বলছে, চলতি মৌসুমে বোরো চাষ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে। স্থানীয় কৃষকেরা বলছেন, গেল মৌসুমে বাজারে ধানের দাম ভালো থাকায় কৃষকদের মধ্যে বোরো চাষের আগ্রহ বেড়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ১ পৌরসভা ও ৬টি ইউনিয়নে আমন ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৮ হাজার ৩০০ হেক্টর। ইতিমধ্যে উপজেলার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ জমিতে বোরো রোপণ করা হয়েছে।
উপজেলার জিনারী, পুমদি, শাহেদল, গোবিন্দপুর, আড়াইবাড়িয়া ইউনিয়নের গ্রামগুলো ঘুরে দেখা গেছে, ইরি-বোরো রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা। চর কাটিহারী, চর হাজিপুর, সাহেবের চর, চর বিশ্বনাথপুর গ্রামে পুরোদমে চলছে ধান রোপণ। বীজতলা থেকে ধানের চারা তোলা হচ্ছে, কোনো জমিতে ধানের চারা রোপণ চলছে। কোনো জমিতে ট্রাক্টর দিয়ে রোপণের উপযোগী করে তোলা হচ্ছে। স্থানীয় কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এ বছর জমিতে তাঁরা বিনা সেভেন ৮, হাইব্রিড বিধান ৭, ২৮, ২৯, ৪৯ ও ৫২, তেজ ও পেট্রোকেম কোম্পানির পাইওনিয়ার এগ্রো-১২ জাতের ধান রোপণ করছেন।
উপজেলার জিনারী ইউনিয়নের চরহাজিপুর গ্রামের আমন ধানচাষি নজরুল ইসলাম বলেন, ‘বাজারে ধানের ভালো দাম ছিল। তাই আশা করেই এইবার বোরো ধান চাষ করেছি।’
চর বিশ্বনাথ গ্রামের রফিক মিয়া বলেন, ‘ধানের বাজার ভালো ছিল গেল মৌসুমে। তাই সবার মতো বোরো চাষ করেছি। আবহাওয়া ভালো থাকলে ফলন ভালোই হবে।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কৃষক বলেন, ‘বাজারে দর ভালো থাকায় অনেকেই বোরো চাষ করছে। আমিও করেছি। কিন্তু ধানের বাজার দর উঠা নামাও করে। কিন্তু এর পরও ঝুঁকি নিয়েই বোরো চাষ করেছি। আবহাওয়া ভালো থাকলে ফলন ভালোই হবে। এখন দেখা যাক ধানের বাজার কী হয়।’
উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. ইমরুল কায়েস বলেন, ‘চলতি মৌসুমে ধানের দাম ভালো ছিল। তাই বোরো চাষে কৃষকদের মধ্যে আগ্রহ বেড়েছে। তবে এ বছর উপজেলায় বোরো ধান চাষ লক্ষ্যমাত্রার ছাড়িয়ে যেতে পারে।’