আল্লাহ তাআলা মানুষের ব্যবহারের জন্য বিভিন্ন দ্রব্যসামগ্রী হালাল করেছেন। বাঁচার জন্য এসব দ্রব্যের অবদান অপরিসীম। বিভিন্ন প্রয়োজনে দ্রব্যসামগ্রী স্থানান্তর করতে হয়, ক্রয়-বিক্রয় করে সংগ্রহ করতে হয়। কিন্তু ব্যবসায়ীদের মধ্যে কেউ কেউ এ সুযোগটিকে কাজে লাগিয়ে দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে দেয় এবং সাধারণ মানুষকে কষ্টে ফেলে। অথচ হাদিসের ভাষায় ব্যবসা-বাণিজ্য একটি বৈধ ও সুন্নতি পেশা। পবিত্র কোরআনেও ব্যবসা করার প্রতি উৎসাহিত করা হয়েছে।
বৈধ এ পেশাকে বিভিন্নভাবে কলুষিত করেছে একটি সিন্ডিকেট। তারা কিনে নেওয়ার সময় বেশি নেওয়ার চেষ্টা করে এবং বিক্রির সময় ওজনে কম দেয়। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যারা পরিমাপে কম দেয় তাদের জন্য ধ্বংস। যারা লোকদের কাছ থেকে মেপে নেওয়ার সময় পূর্ণমাত্রায় গ্রহণ করে, আর যখন তাদের মেপে দেয় অথবা ওজন করে দেয় তখন কম দেয়।’ (সুরা মুতাফফিফিন: ১-৩)
সমাজে আরেক শ্রেণির ব্যবসায়ী আছে, যারা দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে মাল গুদামজাত করে। তারা ইসলামের দৃষ্টিতে খুবই ঘৃণিত। সমাজ যেমন তাদের ভালো চোখে দেখে না, তেমনি তারা ব্যবসাকে কলুষিত করে। মহানবী (সা.) বলেন, ‘গুদামজাতকারী কতই না ঘৃণিত! মহান আল্লাহ দ্রব্যমূল্য কমিয়ে দিলে সে চিন্তায় পড়ে যায়, আর বাড়িয়ে দিলে সে আনন্দিত হয়।’ (মিশকাত)
তিনি আরও বলেন, ‘যে ব্যক্তি চল্লিশ দিন খাদ্যদ্রব্য গুদামজাত করে রাখবে, মানুষকে কষ্ট দেবে, সে তার সকল সম্পদ দান করে দিলেও তার গুনাহ মাফের জন্য যথেষ্ট হবে না।’ (মিশকাত) আরও এরশাদ হচ্ছে, যে ব্যক্তি আমদানি করবে সে রিজিকপ্রাপ্ত হবে, আর যে গুদামজাত করবে সে অভিশপ্ত হবে।’ (ইবন মাজাহ)
লেখক: সহযোগী অধ্যাপক, ইসলামিক স্টাডিজ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়