অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচি (ইজিপিপি) প্রকল্পের আওতায় চল্লিশ দিনের কর্মসূচিতে দৈনিক আট ঘণ্টা কাজ করেন গ্রামের শ্রমিকেরা। অভিযোগ রয়েছে, অনেক সময় কাজ করেও ঠিকমতো টাকা পান না তাঁরা। এ ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা আনতে ময়মনসিংহ সদরে ব্যাংক থেকে ফিঙ্গারপ্রিন্টের মাধ্যমে দেওয়া হচ্ছে টাকা। এতে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন শ্রমিকেরা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ইজিপিপি প্রকল্পের আওতায় কাজ করছেন ১১টি ইউনিয়নের ছয় হাজার ১১৭ জন শ্রমিকের। এখন থেকে কাজে গেলেই টাকা যোগ হবে ব্যাংক অ্যাকাউন্টে। পরে ফিঙ্গারপ্রিন্টের মাধ্যমে টাকা তুলতে পারবেন তাঁরা।
চর ঈশ্বরদিয়া ইউনিয়নের চর বড়বিলা গ্রামের হাতেম আলী বলেন, ‘২১ দিন কাজ করে টাকা তুলছি। সহজ পদ্ধতি হওয়ায় আমাদের জন্য ভালো হয়েছে।’
বেসরকারি মধুমতি ব্যাংকের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘এর সফলতা পেলে পর্যায়ক্রমে সারা বাংলাদেশে চালু হবে এই পদ্ধতি। কেউ টাকা না তুললে সঞ্চয় হিসেবে অতিরিক্ত মুনাফা পাবে।’
দাপুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান বলেন, ‘আগে চেয়ারম্যান ও সদস্যরা নানা কারণে অভিযুক্ত হতো। এখন ব্যাংকে টাকা দেওয়ায় আমরা দায়মুক্ত হয়েছি।’
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মনিরুল হক ফারুক রেজা বলেন, ‘মজুরির টাকা স্বচ্ছভাবে দিতে এ প্রক্রিয়া। আমরা চাই যারা ঘাম ঝরাচ্ছেন, তাঁরা যেন পারিশ্রমিকটা ঠিকমতো পান।’
সদরের ইউএনও সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘শ্রমিকদের টাকা শতভাগ তাঁদের হাতে পৌঁছে দিতে এই প্রক্রিয়া চালু হয়েছে। শ্রমিক যত দিন কাজ করবে, সেই অনুযায়ী তাঁর টাকা অ্যাকাউন্টে জমা হবে। এটি একটি স্বচ্ছ প্রক্রিয়া। মনে হচ্ছে এতে আমরা সফলতা পাব।’