নাটোরের গুরুদাসপুরে কাদার মধ্যেই চলছে রাস্তার পিচ ঢালাই। গত শনিবার উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের একটি রাস্তার নির্মাণকাজ নিয়ে এ অভিযোগ ওঠে। এতে এলাকাবাসী কাজের মান এবং এর স্থায়িত্ব নিয়েও প্রশ্ন তোলেন।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সূত্রে জানা গেছে, ধারাবারিষা ইউনিয়নের দক্ষিণ নাড়িবাড়ী এলাকা থেকে গুরুদাসপুর পৌরভবন পর্যন্ত ১ হাজার ৬০০ মিটার রাস্তা সংস্কার করা হচ্ছে। এ কাজে ৭৩ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। কাজটি করছে মোহাম্মদ আলী এন্টারপ্রাইজ নামের নাটোরের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
শনিবার সকালে সরেজমিনে দেখা গেছে, ওই ইউনিয়নের উত্তর নাড়িবাড়ীর সাবের হোসেনের বাড়ির সামনের নির্মাণাধীন রাস্তার অংশ পুকুরে ধসে গেছে। বিকেল ৪টা পর্যন্ত বৃষ্টি হওয়ায় রাস্তায় পানি জমে কাদাপানিতে পরিণত হয়েছে। ওই কাদাপানির মধ্যেই কার্পেটিং করছেন ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন। সেখানে সংশ্লিষ্ট বিভাগের লোকজন থাকলেও কোনো কথা বলছেন না। এ সময় এলাকাবাসী কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
উত্তর নাড়িবাড়ীর বাসিন্দা আকবর আলী বলেন, সন্তোষের বাড়ি থেকে পৌরভবন পর্যন্ত রাস্তার কাজের মান খারাপ হচ্ছে। এলাকাবাসী কোনো কথা বললেও তা শুনছেন না ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন। এ ছাড়া কাদাপানির ওপর বিটুমিন বিছানো হচ্ছে। এতে রাস্তার মান খারাপ হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা আহম্মাদ আলী বলেন, এই রাস্তার মান নিয়ে অভিযোগ উঠেছে। নিম্নমানের খোয়া, বালু, বিটুমিন ব্যবহার করে রাস্তা তৈরি করা হচ্ছে। বৃষ্টির পানির ওপর রাস্তা নির্মাণ করলে কতদিন টিকবে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।
সেখানে থাকা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোক গোলাম রব্বানি বলেন, হঠাৎ বৃষ্টি হওয়ার কারণে একটু সমস্যা হয়েছে। কিছু বিটুমিন প্রস্তুত থাকায় এভাবেই কাজ করা হচ্ছে। উপজেলা প্রকৌশলী মো. মিলন মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, বৃষ্টির পর কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। রাস্তা না শুকালে কাজ করতে নিষেধ করা হয়েছে। এ অবস্থায় কাজ করলে কাজের স্থায়িত্ব বজায় থাকবে না।