চলতি বছর পবিত্র হজে বাংলাদেশের অংশগ্রহণের বিষয়টি সৌদি সরকারের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় চুক্তির ওপর নির্ভর করছে বলে জানিয়েছেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান।
গতকাল জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারদলীয় সাংসদ বেনজীর আহমেদের লিখিত প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘দ্বিপক্ষীয় হজ চুক্তি সম্পাদিত হলে বাংলাদেশ থেকে কতজন হজ পালনের সুযোগ পাবেন, তা জানা যাবে। বাংলাদেশ এই বিষয়ে সৌদি সরকারের সঙ্গে নিবিড়ভাবে যোগাযোগ রাখছে। আমরা আশাবাদী, বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা এবার পবিত্র হজে যেতে পারবেন।’
নোয়াখালী-৩ আসনের সাংসদ মামুনুর রশীদ কিরণের এক প্রশ্নের জবাবে ফরিদুল হক খান জানান, হজে অনিয়মের কারণে গত ৫ বছরে ৪টি হজ এজেন্সির লাইসেন্স বাতিল ও ৩৬টি হজ এজেন্সিকে ৪৩ লাখ ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এর আগে জাতীয় হজ ও ওমরাহ নীতিতে অনিয়মের কারণে কোনো এজেন্সিকে কালো তালিকাভুক্ত করার বিধান না থাকায় ধর্ম মন্ত্রণালয় গত বছর কোনো এজেন্সিকে কালো তালিকাভুক্ত করেনি বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।
গত ২৪ জুন ‘হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনা আইন ২০২১’ গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, পরবর্তী সময়ে কোনো এজেন্সির বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ উঠলে আইন অনুযায়ী প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রংপুর-১ আসনে জাতীয় পার্টির সাংসদ মসিউর রহমান রাঙ্গার প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে বৈদেশিক সাহায্যপুষ্ট প্রকল্পের আওতায় কোনো প্রকল্প নেওয়া হয়নি এবং ভবিষ্যতেও এমন প্রকল্প নেওয়ার পরিকল্পনা আপাতত নেই।