নাটোরের নলডাঙ্গায় চারা জাতের হালি পেঁয়াজ বাজারে উঠতে শুরু করেছে। এতে সপ্তাহের ব্যবধানে পাইকারি পর্যায়ে মূল্য প্রতি কেজি ২০ থেকে ২৫ টাকা কমেছে। এখন প্রকারভেদে ৩৫ থেকে ৩৭ টাকা দরে কেনাবেচা হচ্ছে। আর পুরোনো কন্দ জাতের পেঁয়াজ প্রতি কেজি ২৫ থেকে ৩০ টাকা কমে এখন তা ২০ থেকে ২৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
তবে স্থানীয় আড়তদার ও পাইকারি ব্যবসায়ীদের দাবি, ভারতীয়সহ বিদেশি পেঁয়াজ আমদানি ও দেশীয় চারা জাতের হালি পেঁয়াজ উঠতে থাকায় দাম আরও কমতে পারে।
গতকাল সোমবার উপজেলার বিভিন্ন হাট ঘুরে জানা গেছে, গত সপ্তাহ থেকে উপজেলার পাইকারি হাট নলডাঙ্গা ও পাটুল হাটে চারা জাতের হালি পেঁয়াজ উঠতে শুরু করায় সরবরাহ বেড়ে গেছে। শুরুতে এই চারা জাতের হালি পেঁয়াজ ৪৫ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করা হয়। তবে এখন তা ১০ থেকে ১৫ টাকা কমে প্রতি কেজি ৩৫ থেকে ৩৭ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর দুই সপ্তাহ আগে পুরোনো কন্দ জাতের পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৫৫ থেকে ৬০ টাকা দরে বেচাকেনা হয়। তবে ওই জাতের পেঁয়াজ এখন প্রতি কেজি ৩৫ থেকে ৪০ টাকা কমে ২০ থেকে ২৫ টাকা দরে কেনাবেচা হচ্ছে।
পাইকারি ব্যবসায়ী বাবু বলেন, ভারতীয় পেঁয়াজের আমদানি ও দেশীয় চারা জাতের পেঁয়াজ উঠতে শুরু করায় বাজারে এর মূল্য কমতে শুরু করছে। গতকাল পাটুল হাটে পাইকারি প্রতি কেজি ৩৫ থেকে ৩৭ টাকা দরে কিনে রাজধানীসহ বিভিন্ন মোকামে পাঠানো হচ্ছে।
নলডাঙ্গা হাটের আড়তদার শফি উদ্দিন বলেন, বাজারে নতুন পেঁয়াজ সরবরাহ বাড়ছে। তাই কমতে শুরু করেছে এর দাম। গত শনিবার নলডাঙ্গা হাটে নতুন পেঁয়াজ ৩৩-৩৫ টাকা দরে বেচাকেনা হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, এক সপ্তাহের মধ্যে পেঁয়াজের সরবরাহ দ্বিগুণ হবে। তখন আরও পেঁয়াজের দাম কমতে পারে।
তবে স্থানীয় কৃষককে লোকসান ঠেকাতে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ করার দাবি জানিয়েছেন।
পাটুল গ্রামের আনোয়ার হোসেন বলেন, বর্তমানে পাইকারি বিভিন্ন হাটে যে দাম পাচ্ছেন তিনি তাতে লোকসান না হলেও খুব বেশি লাভ হবে না। তাই এই দাম যেন থাকে এ জন্য ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ করার দাবি জানান তিনি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফৌজিয়া ফেরদৌস বলেন, এবার উপজেলায় ২ হাজার ৬৫০ হেক্টর জমিতে চারা জাতের পেঁয়াজ চাষ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূল থাকায় এবার পেঁয়াজের বাম্পার ফলন হওয়ার আশা করা হচ্ছে। বাজারে একই সঙ্গে বেশি পেঁয়াজের আমদানি হওয়ায় দাম কমতে শুরু করেছে।