চৈত্রের প্রখর রোদ এবং গরমে অতিষ্ঠ মানুষ। এরই মধ্যে ঘন ঘন বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় কষ্টে দিন কাটছে মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলাবাসীর। দিনরাত মিলিয়ে ৫-৬ বার বিদ্যুৎ-বিভ্রাট ঘটায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে তারা। বেশি সমস্যায় শিশুরা এবং পোলট্রি খামারিরা।
উপজেলার কলিয়া ইউনিয়নের বহড়া বাড়ি গ্রামের গৃহিণী শারমিন আক্তার বলেন, ‘আমার দুই মাসের শিশু বাচ্চা আছে। প্রচণ্ড গরমে মেয়েটা অসুস্থ হয়ে পড়েছে। এর মধ্যে আবার ঘন ঘন বিদ্যুৎ যাওয়ায় আরও বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছে। বিদ্যুৎ যাওয়ায় সঙ্গে সঙ্গেই কান্না শুরু করে, যতক্ষণ না আসে কান্না থামানো যায় না। চৈত্র মাসটা যদি ঠিকমতো বিদ্যুৎ দিত, তাহলে বেঁচে যেতাম।’
দৌলতপুর উপজেলা পোলট্রি খামার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. শাহ আলম বলেন, ‘বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় খামারিরা। এই গরমে ২৪ ঘণ্টা ফ্যান চালিয়ে রাখলেও মুরগি মারা যায়। আর যদি বিদ্যুৎ চলে যায় তাহলে কী অবস্থা হতে পারে বুঝুন।’
দৌলতপুর উপজেলা পল্লী বিদ্যুতের জুনিয়র প্রকৌশলী অনুপ বালা আজকের পত্রিকাকে বলেন, জাতীয় গ্রিডে সমস্যা থাকায় অনেক সময় বিদ্যুৎ বন্ধ রাখতে হয়। আবার সেচের সময় অতিরিক্ত চাহিদার কারণে দিনে দুই তিনবার বিদ্যুৎ বন্ধ রাখতে হয়। তবে অচিরেই এই সমস্যার সমাধান হবে।