হোম > ছাপা সংস্করণ

‘কর্মচারীদের বেতন শিগগির’

রামগড় (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি

খাগড়াছড়ির রামগড় পৌরসভায় আনুষ্ঠানিকভাবে গতকাল রোববার দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন নবনির্বাচিত মেয়র রফিকুল আলম কামাল। নির্বাচনের আগে দেওয়া সব প্রতিশ্রুতি পূরণের আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘নিয়মিত রাজস্ব আদায়ের মাধ্যমে পৌর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বকেয়া বেতন ও পিডিবির বিল শিগগির পরিশোধ করব। নিয়মিত তাঁদের বেতন ভাতা চালু রাখব।’

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পৌরসভার পর্যাপ্ত আয় থাকা সত্ত্বেও, নাগরিক সেবা থেকে শুরু করে সবকিছুতে বঞ্চিত এ এলাকার মানুষ। পৌরসভার কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন ও বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড পিডিবির প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকার বকেয়া বিল রয়েছে। সব মিলে এসব সংকট কাটিয়ে নতুন মেয়রের পথ চলায় বেশ বেগ পেতে হবে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় রামগড় পৌরসভা। দ্বিতীয় শ্রেণির পৌরসভা এটি। এতে কর্মকর্তা-কর্মচারী আছেন ৪৭ জন। তাঁদের মধ্যে স্থায়ী ৩০ জন। অস্থায়ী আছেন ১৭ জন। সাবেক পৌর মেয়র কাজী মোহাম্মদ শাহজাহান রিপন ২০১১ সাল থেকে রামগড় পৌরসভার মেয়র হিসেবে ২ মেয়াদে ২০২১ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। সাধারণ মানুষের অভিযোগ, মশার উপদ্রব, ড্রেনেজ সমস্যা, শৌচাগারের অভাব, বিশুদ্ধ পানির নেই কোনো উৎস। বেশির ভাগ এলাকায় সড়কবাতি নেই, রাস্তার পাশে ফেলা বর্জ্য পরিষ্কার করা হয় না। প্রয়োজনীয় নালা-নর্দমা ও ফুটপাতও নেই।

পিডিবি জানায়, পৌর কর্তৃপক্ষের কাছে ১১টি মিটারের হিসাবে ৪৩ লাখ ৭০ হাজার ২২৮ টাকা পাওনা রয়েছে। পৌরসভার পানি সরবরাহ, রাস্তার বাতি, ভবন ইত্যাদিতে ব্যবহারের জন্য ১১টি আলাদা বিদ্যুতের মিটার রয়েছে। কয়েক মাস আগে বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। পরে পৌর কর্তৃপক্ষ ৫ লাখ টাকা দিয়ে আবার সংযোগ চালু করে এবং বকেয়া বিল পরিশোধ করবে বলে প্রতিশ্রুতি দেয়।

পৌরসভার কর নির্ধারক মোহাম্মদ শাহ আলম জানান, সাবেক মেয়র কাজী রিপন দায়িত্বভার গ্রহণের পর থেকে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বেতন ভাতা অনিয়মিত হয়ে যায়। ২০১১ সালের পর থেকে কয়েক মাস পরপর বেতন দেওয়া হতো। তাও মূল বেতনের অর্ধেক। তবে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরের পর থেকে আর বেতন দেওয়া হয়নি। বর্তমানে বকেয়া ভাতার পরিমাণ ২ কোটি ৯০ লাখ টাকা। পৌরসভায় মাসে মোট ৮ লাখ টাকা বেতন দিতে হয়। পৌরসভার মাসিক আয় ৮০-৯০ লাখ টাকা।

পৌরসভা ঘুরে দেখা গেছে, রামগড় পৌর শহরের বাজার এলাকায় জনসাধারণের ব্যবহারের জন্য শৌচাগার রয়েছে দুটি। মূল বাজার এলাকা, বাসস্ট্যান্ড ও অটোরিকশার স্ট্যান্ডে নেই কোনো শৌচাগার। মূল বাজার এলাকা থেকে ২০০ গজ দূরে একটি শৌচাগার থাকলেও অপরিচ্ছন্ন। নেই পর্যাপ্ত পানির ব্যবস্থা।

পৌরসভায় নেই তেমন সড়কবাতি। বেশির ভাগ সড়কবাতিই নষ্ট। আশপাশের দোকান এবং প্রতিষ্ঠানের আলোতেই চলাচল করতে হয় লোকজনকে। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা পাড়া-মহল্লার ছোট রাস্তাগুলোর। এসব রাস্তার বাতি অকেজো হয়ে পড়েছে। তা ছাড়া রাস্তা পারাপারের জন্য নেই কোনো ফুটওভারব্রিজ কিংবা সাংকেতিক চিহ্ন।

রামগড় পৌরশহরের বাসিন্দা জামাল হোসেন বলেন, এই পৌরসভায় তেমন সেবা নেই। সবকিছুতে ভোগান্তি। অথচ নিয়মিত কর দিতে হচ্ছে। এক মাসের কর বাকি থাকলেও, সনদ পাওয়া যায় না। অথচ পৌর কর্তৃপক্ষ কোনো সেবা দেয় না।

পৌর মেয়র রফিকুল আলম কামাল বলেন, ‘রামগড় পৌরসভাকে একটি সুন্দর, পরিবেশবান্ধব, পরিচ্ছন্ন, বাসযোগ্য ও আধুনিক নগরে রূপান্তরিত হবে এটাই আমার প্রত্যাশা।’ তিনি আরও বলেন, চ্যালেঞ্জিং সময় কাটবে সামনের পাঁচ বছর। তবে জনগণের সেবা নিশ্চিত করাই প্রথম লক্ষ্য। খুব শিগগির শহরের উপকণ্ঠে আধুনিক শৌচাগার নির্মাণের কাজ শুরু করা হবে। শহরের প্রধান সড়কের পাশাপাশি পাড়া মহল্লায় সড়কবাতি স্থাপনের কাজ করা হবে। বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করা হবে।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ