হোম > ছাপা সংস্করণ

ডাকাত-আতঙ্কে দুই গ্রামের মানুষের রাত কাটে পাহারায়

চান্দিনা প্রতিনিধি

কুমিল্লার চান্দিনায় হঠাৎ বেড়েছে ডাকাতের উপদ্রব। আজ এ-বাড়ি, কাল ও-বাড়ি; আবার কখনো সড়কে। ডাকাতের এমন আতঙ্কে ঘুম হারাম হয়ে গেছে উপজেলার মাধাইয়া ইউনিয়নের কুটুম্বপুর ও মীরগঞ্জ গ্রামবাসীর। পুলিশ ডাকাত চক্রকে শনাক্ত এবং গ্রেপ্তার করতে না পারায় পাহারা দিয়ে রাত কাটাচ্ছে ওই এলাকার বাসিন্দারা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এক মাস ধরে উপজেলার মাধাইয়া ইউনিয়নের কুটুম্বপুর, মীরগঞ্জ, পার্শ্ববর্তী দেবিদ্বার উপজেলার ভানী ইউনিয়নের সাহারপাড়, সূর্যপুর গ্রামে ডাকাতি সংঘটিত হচ্ছে। ওই চারটি গ্রাম পাশাপাশি হওয়ায় ডাকাত চক্র ২-৩ দিন পরপর ওই চারটি গ্রামে ধারাবাহিকভাবে ডাকাতি করে মালামাল লুটে নিচ্ছে। কখনো কখনো গৃহকর্তাদের ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত করছে। তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ হাসপাতালে এখনো মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন। ডাকাতের কবল থেকে রক্ষা পেতে ইতিমধ্যে এলাকাবাসী মানববন্ধন ও সভা-সমাবেশ করেন।

চান্দিনার মাধাইয়া ইউনিয়নের কুটুম্বপুর গ্রামের বাসিন্দা নাছির বলেন, ‘আমার ভাই এলাকার প্রতিষ্ঠিত গরু ব্যবসায়ী। ব্যবসার কারণে আমার ঘরে মোটামুটি টাকা রাখতে হয়। গত ২৯ মে রাতে ডাকাত দল ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে টাকাপয়সা লুটে নেয়। এ সময় আমার ভাই সফিকুল ইসলাম বাধা দিলে তাকে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করে। আমার ভাই ঢাকার একটি প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।’ একই গ্রামের সবুজ হোসেন জানান, ২ জুন রাতে ডাকাত দল আমার ঘরে ঢুকে অস্ত্রের মুখে সাড়ে ৩ লাখ টাকা নিয়ে যায়।

মীরগঞ্জ গ্রামের হোসেন বলেন, ‘গত এক সপ্তাহে আমাদের গ্রামের দুটি বাড়িতে ডাকাত হানা দেয়। কিন্তু আমাদের এলাকায় পাহারার কারণে ডাকাতি করতে পারেনি। ১ জুন মাধাইয়া বাজার থেকে এক ব্যবসায়ী বাড়ি ফেরার সময় তাঁকে আটক করে ডাকাত দল। তবে তাঁর কাছে কিছু না থাকায় ছেড়ে দেয়।’

মাধাইয়া ইউপির চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মজিবুর রহমান বলেন, ‘ডাকাত-আতঙ্কে এলাকায় পাহারা দিচ্ছে গ্রামবাসী। ৪ জুন বিকেলে কুটুম্বপুর গ্রামে আমরা সচেতনা সভা করি। ওই সভায় চান্দিনা থানা পুলিশও উপস্থিত ছিল।’

ওই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল হোসেন বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুটুম্বপুর বাসস্টেশন এলাকার এক পাশে চান্দিনা উপজেলার কুটুম্বপুর, মীরগঞ্জ গ্রাম, অপর পাশে দেবিদ্বার উপজেলার সাহারপাড়, সূর্যপুর ও খাদঘর গ্রামে। গত এক মাসে ওই সব এলাকায় ৭-৮টি ডাকাতির ঘটনা ঘটে।

সাহারপাড় গ্রামের বাসিন্দা তানভীর আহমেদ বলেন, ২৮ জুন রাতে সাহারপাড় আক্তারুজ্জামান খন্দকার বাড়িতে ডাকাতি করে সর্বস্ব লুটে নেয় ডাকাত দল। গত এক মাসে ওই গ্রামের আরও ৩টি ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ১ জুন ডাকাতি রোধে মানববন্ধন করেছেন কয়েক গ্রামের মানুষ।

এ ব্যাপারে চান্দিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আরিফুর রহমান বলেন, ‘সফিকের বাড়িতে ডাকাতি নয়, সেটি পূর্বশত্রুতায় হামলা। সবুজের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা আমার জানা নেই। দুই গ্রামের মানুষ এখন প্রতি রাতে পাহারা দিচ্ছে।’ ডাকাতি যদি না-ই হয়, তাহলে গ্রামের মানুষ রাতে পাহারা দিচ্ছে কেন? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘ডাকাতি হলে তো কিছু নিত। সফিকের ঘর থেকে কিছু নেয়নি।’

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ