মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে বেদেপল্লিতে চাঁদা দাবির অভিযোগে নুরুল ইসলাম ওরফে জহিরুল নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত শনিবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার বাসাইল ইউনিয়নের পূর্ব ব্রজেহাটি গ্রামে নিজ বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাঁর ঘর তল্লাশি চালিয়ে একটি ধারালো রামদা উদ্ধার করে পলিশ।
পুলিশ জানায়, জহিরুল তাঁর লোকবল নিয়ে বেদেপল্লিতে চাঁদা দাবি করে। বেদেরা চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে তাদের মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এ ঘটনায় বেদে সর্দার ইসলাম মিয়া গত শনিবার রাতে বাদী হয়ে সিরাজদিখান থানায় ৪ জনকে অভিযুক্ত করে মামলা করেন। ওই দিন রাতেই চাঁদাবাজি মামলার প্রধান আসামি জহিরুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। বাকি ৩ জন পলাতক রয়েছেন।
ভুই গ্রামের বেদে সর্দার ইসলাম মিয়া জানান, ‘দীর্ঘদিন ধরে জহিরুল তাঁর লোকজন নিয়ে আমাদের বেদে পল্লিতে এসে গলায় অস্ত্র ঠেকিয়ে চাঁদা দাবি করে আসছে এবং আমাদের মেয়েদের জোড় করে খারাপ কাজ করতে চায়। শেষ পর্যন্ত কোনো উপায় খুঁজে না পেয়ে অতিষ্ঠ হয়েই তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করেছি।’
সিরাজদিখান থানার ওসি মোহাম্মদ বোরহান উদ্দিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, রামদাসহ একজনকে গ্রেপ্তার করেছি। বাকি ৩ জন পলাতক রয়েছে। আশা করছি ওই তিনজনকে খুব দ্রুত গ্রেপ্তার করতে পারব।