খাগড়াছড়ির রামগড়ে শীতকালীন সবজির সরবরাহ বাড়লেও কমেনি দাম। চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে বেশির ভাগ সবজি। বিক্রেতারা বলছেন পাইকারি বিক্রেতাদের থেকে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে তাদের।
সরেজমিন রামগড় কাঁচা বাজারে গিয়ে দেখা যায়, বাজারে শীতকালীন সব ধরনের সবজি চলে এসেছে। সরবরাহ বেশি হলেও দাম কমেনি। আগের চেয়ে সব সবজির দাম বাড়তি রাখা হচ্ছে ক্রেতাদের থেকে।
শিম প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা গত বাজারে ছিল ৬০ টাকা। বেগুন কেজি প্রতি ৬০ টাকা আগে ছিল ৪৫ থেকে ৫০ টাকা। প্রতি পিস বাঁধা কপি ৩৫ টাকা আগে ছিলো ২৫ থেকে ৩০ টাকা। ফুল কপি কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা গত বাজারে ছিলো ৫০ টাকা। গাজর কেজি প্রতি ৬০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। দেশি শসা কেজি ৫০ থেকে ৮০ টাকা।
তবে লাউয়ের দাম কমেছে। গত সপ্তাহে মাঝারি সাইজের লাউ ৮০ টাকা এবং ছোট সাইজের লাউ ৭০ টাকা ছিলো। তবে এ বাজারে লাউ যথাক্রমে ৫০ টাকা ও ৬০ টাকা। সে সঙ্গে কাঁচা মরিচের দাম ও কমেছে। গত বাজারে ৮০ টাকা থাকলেও এ বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা।
মনির হোসেন নামের খুচরা বিক্রেতা বলেন, ‘আমাদের বেশি দামে কিনতে হয়। যার জন্য সরবরাহ বেশি থাকলেও দাম কমানো সম্ভব না’।
চিটাগাং ফার্নিচারের মালিক ওয়াজেদ আলী সর্দারের নামের এক ক্রেতা বলেন, ‘বাজারে শীতকালীন সব ধরনের সবজি চলে এসেছে। তবে দাম গতবারের তুলনায় অনেক বাড়তি। প্রচুর সরবরাহ থাকার পরও বাজারে দাম কেন কমছে না বুঝতে পারি না। সবজি বিক্রেতারা নিজেদের মাঝে সিন্ডিকেট করে দ্রব্য মূল্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে।’
রবিউল নামের আরেকজন জানান, বাজারে পেঁয়াজ, রসুন, তৈল এর দাম ও বেড়েছে। এভাবে সবজির দাম বাড়লে আমাদের না খেয়ে থাকতে হবে।
মন্নান হোসেন নামের এক পাইকারি বিক্রেতা আজকের পত্রিকাকে জানান, রামগড়ে সবজির জোগানের চেয়ে চাহিদা অনেক বেশি। বাইরে থেকে কিনে আনতে হয়। পরিবহন খরচ বেড়ে যায়। এ জন্য শীতকালে সবজির দাম একটু বেশি থাকে। তবে তা সহনশীল বলে দাবি করেন তিনি।