আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে প্রথমবারের মতো ইলেকট্রিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোট অনুষ্ঠিত হচ্ছে বাবুগঞ্জ উপজেলার চাঁদপাশা ইউপিতে। প্রথমবার এ প্রযুক্তির মাধ্যমে ভোট নিয়ে শঙ্কায় আছেন ভোটারেরা।
নির্বাচনে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেওয়া যাবে কি না তা নিয়েও ভাবছেন তাঁরা। কারণ যারা ইভিএম নিয়ন্ত্রণ করবেন তাঁরা কতটুকু নিরপেক্ষ থাকবেন সেটা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে।
ইউপির ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটার আরিফ হোসেন, কাওসার হোসেন, জাহাঙ্গীর হোসেনসহ কয়েকজন প্রায় অভিন্ন কথা বলেছেন। তবে গ্রামের বৃদ্ধ ও নারী ভোটারদের ইভিএম সম্পর্কে ধারণা না থাকায় ভোট কেন্দ্রে উপস্থিতি কম হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
স্থানীয় শিক্ষক আরিফুল ইসলাম জানান, ভোটারের সংশয় দূর করতে কোনো উদ্যোগ সংশ্লিষ্টদের মধ্যে দেখা যাচ্ছে না। নতুন এ পদ্ধতি নিয়ে প্রচার ও প্রশিক্ষণের দাবি করেন ভোটারেরা।
ইউপি চেয়ারম্যান আনিচুর রহমান সবুজ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী কাওছার হোসেন বলেন, আধুনিক প্রযুক্তির ভালো ও মন্দ দুটো দিকই থাকবে। তবে সচেতন নাগরিক হিসেবে ইভিএমকে পজিটিভ হিসেবে দেখছেন তাঁরা। ইভিএম নিয়ে কোনো রকমের অনিয়ম হলে সেটা জনগণ প্রতিহত করবে।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম ইভিএমে ভোট নিয়ে সংশয়ের কোনো কারণ নেই বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘ইতিমধ্যে উপজেলার জাহাঙ্গীর নগর ও রহমতপুর ইউপি নির্বাচনে মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়েছেন। প্রতিটি কেন্দ্রে প্রজেক্টরের মাধ্যমে ডামি ভোট দেখানো হবে।’