মাগুরা জেলার শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কার্যালয়ের কর্মকর্তদের তড়িৎ নির্দেশের কারণে গ্রামবাসীর অনিচ্ছা সত্ত্বেও ৩০টিরও বেশি গাছ কাটা হয়েছে।
সদর ইউনিয়নের সারঙ্গদিয়া গ্রামের কুমার নদীর পারে বসবাসরত অধিবাসীদের সেসব গাছ কাটা হয়েছে।
কেটে নেওয়া গাছগুলোর মধ্যে রয়েছে মূল্যবান মেহগনি, বেল, কাঁঠাল, জামসহ অন্যান্য গাছ।
স্থানীয়রা জানায়, কয়েক দিন আগে আশ্রয়হীনদের ঘর দেওয়ার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিস থেকে সারঙ্গদিয়া গ্রামে কুমার নদের পাড়ে যেখানে গাছ ছিল সেই জায়গা চিহ্নিত করা হয়। পরিচর্যা করে বড় করেছে।
সম্প্রতি উল্লিখিত জায়গা খাস বলে শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসের অন্যান্য কর্মকর্তারা সরেজমিনে পরিদর্শন করে জায়গাটি দখলে নেন। ভোগদখলে থাকা পরিবারের সদস্যদের মৌখিকভাবে গাছগুলো কেটে নিতে নির্দেশ দেন। অন্যথায় নিজেরাই, কেটে নেবে বলে জানান।
ভোগদখলে থাকা পরিবারের সদস্যরা অনিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও নিজ খরচে তড়িঘড়ি করে গাছগুলো কেটে ফেলেন।
গ্রামবাসীর বক্তব্য, আশ্রয়হীনদের পুনর্বাসনে কেউই বিপক্ষে নয়। কিন্তু স্থানীয়দের সমস্যা না শুনে বসতির মাঝে হঠাৎ করেই অচেনা অজানা লোকদের বসিয়ে দিয়ে এক ধরনের বিরূপ পরিবেশ তৈরি করা হচ্ছে।
তবে কেন গাছ কাটার নির্দেশ দেওয়া হলো এ বিষয়ে শ্রীপুর এসিল্যান্ড শ্যামানন্দ কণ্ডুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, কাউকে ভয় দেখিয়ে গাছ কাটা হয়নি। বরং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্প ভূমিহীনদের জন্য ঘর বরাদ্দ বাস্তবায়নে আমরা গাছ কেটেছি।