রমজান মাসকে কাজে লাগিয়ে কীভাবে ফায়দা লোটা যায়, সে প্রত্যাশায় থাকেন অনেকে। ঘরে ঘরে ব্যবসায়ীদের পাহারা দেওয়া সম্ভব নয়। আসন্ন রমজান উপলক্ষে নিত্যপণ্যের মূল্য ও সরবরাহ পরিস্থিতি নিয়ে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ এসব কথা বলেন। অন্যদিকে, অসাধু ব্যবসায়ীরা হঠাৎ করে পণ্যের দাম বাড়ালে তার দায় সব ব্যবসায়ী নেবেন না বলে জানিয়েছেন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি জসিম উদ্দিন।
গতকাল রোববারের সভায় নিত্যপণ্যের অবৈধ মজুত, পণ্যের মূল্যতালিকা না দেওয়া, পণ্য ক্রয়ে পাকা ক্যাশ মেমো সংরক্ষণ না করা, বিক্রয়ের ক্যাশ মেমো না দেওয়া, আমদানিসংশ্লিষ্ট কাগজপত্র না থাকা, পাইকারি মূল্যের সঙ্গে খুচরা মূল্যের সামঞ্জস্য না থাকা এবং ভোক্তাদের প্রয়োজনের অতিরিক্ত পণ্য ক্রয় না করার বিষয়েও আলোচনা করা হয়।
বাণিজ্যসচিব বলেন, রমজান মাসে সংকটকে কেউ কেউ কাজে লাগিয়ে কীভাবে ফায়দা লোটা যায়, সে প্রত্যাশায় থাকেন। ব্যবসায়ীরা প্রায়ই একে অন্যকে দোষারোপ করেন। মুক্তবাজার অর্থনীতিতে আমরা পণ্যের দাম বেঁধে দিতে চাই না। কিন্তু বাজারটা সঠিক নিয়মে চলছে না। ব্যবসায়ীদের শাস্তি দেওয়া সরকারের উদ্দেশ্য নয়।
ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, রমজান এলেই ভোজ্যতেল, চিনি, ছোলা, খেজুরসহ কয়েকটি পণ্যের দাম বাড়ে। এবার বাজার কমিটির ওপর দায়দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। কোনো বাজারে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি হলে বাজার কমিটিকে দায় নিতে হবে।
জসিম উদ্দিন বলেন, অসাধু ব্যবসায়ীরা হঠাৎ করে পণ্যের দাম বাড়ালে সেটির দায় সব ব্যবসায়ী নেবে না। পণ্যের মূল্য নির্ধারণের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে সমন্বয় করে সবদিক বিবেচনা করার বিষয়ে নজর দিতে হবে। এখন কাঁচা মরিচের দাম কেন ২০০ টাকা হবে। ডিমের দাম কেন বাড়বে?
টিসিবির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আরিফুল হাসান বলেন, রমজানে টিসিবির ভর্তুকি মূল্যে পণ্য বিক্রির কার্যক্রম জোরদার হবে।
বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন ডলারের মূল্য স্থিতিশীল থাকলে আসন্ন রমজানে চাল, ডাল, তেল, ছোলা, চিনি ও খেজুরের মূল্য স্থিতিশীল ও সরবরাহ পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন।