হোম > ছাপা সংস্করণ

চরাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার শঙ্কা

কাউনিয়া প্রতিনিধি

উজানের ঢলে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্য নদ-নদীতেও পানি বাড়তে থাকায় কাউনিয়া, গঙ্গাচড়া ও পীরগাছা উপজেলার চরাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) ডালিয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী আসফা উদ দৌলা বলেন, ‘আজ (সোমবার) সন্ধ্যা ৬টায় তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ৩১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। স্রোতের চাপ সামলাতে ব্যারাজের ৪৪টি গেট খুলে দেওয়া হয়েছে।’

পাউবো জানায়, আগামী ৪৮ ঘণ্টায় দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং ভারতের আসাম, মেঘালয় ও হিমালয় পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এতে ব্রহ্মপুত্র-যমুনা, গঙ্গা-পদ্মা, তিস্তা, ধরলা, দুধকুমারসহ বিভিন্ন নদীতে পানি বাড়তে পারে। তিস্তা নদীর পানি সমতল বিপৎসীমার কাছাকাছি অথবা কোনো কোনো স্থানে বিপৎসীমার ওপরে অবস্থান করতে পারে। এতে রংপুর, লালমনিরহাট, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা জেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে।

পাউবো রংপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান হাবীব জানান, আজ (সোমবার) দুপুর ১২টায় ঘাঘট নদীর গাইবান্ধা পয়েন্টে ২২ দশমিক ৪ সেন্টিমিটার (স্বাভাবিক ২১ দশমিক ৭০), যমুনেশ্বরী নদীর রংপুরের বদরগঞ্জ পয়েন্টে ৩০ দশমিক ৫০ সেন্টিমিটার (স্বাভাবিক ৩২ দশমিক ১৬), করতোয়া নদীর রহিমাপুর পয়েন্টে ১৮ দশমিক ৮৫ সেন্টিমিটার (স্বাভাবিক ২০ দশমিক ১৫) পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে।

এদিকে তিস্তা অববাহিকার উজানে দ্রুতগতিতে পানি বাড়ায় রংপুর জেলার গঙ্গাচড়া, কাউনিয়া এবং পীরগাছা উপজেলায় বিপৎসীমার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হতে পারে। সংশ্লিষ্ট নদী অববাহিকায় বা চরাঞ্চলে বসবাসরত মানুষকে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে।

কাউনিয়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আহসান হাবিব সরকার বলেন, ‘উপজেলায় এখন পর্যন্ত বন্যায় কোনো এলাকা প্লাবিত হয়নি। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড বন্যার শঙ্কার সতর্কীকরণ বার্তা পাঠিয়েছে। আমাদের সরকারিভাবে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া আছে। তবে বৃষ্টির পানিতে নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে।’

উপজেলার হারাগাছ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাজু আহমেদ জানান, কয়েক দিন ধরে টানা বৃষ্টিতে তাঁর ইউনিয়নের উদাশিরপার, চর পূর্ব নাজিরদহ ও বটতলা ঠাকুরদাশ গ্রামে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। এতে করে এসব গ্রামের চার শতাধিক পরিবার জলাবদ্ধতায় শিশু বৃদ্ধ ও গবাদিপশু নিয়ে বিপাকে পড়েছে। তিনি ব্যক্তিগতভাবে শুকনো খাবার বিতরণ করেছেন।

বটতলা ঠাকুরদাশ গ্রামের আলম মিয়া বলেন, ‘জলাবদ্ধতার কারণে বাড়ি থেকে হাটবাজার ও খেত-খামারে যেতে পারছি না।’

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ