মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশের মংডু হয়ে বাংলাদেশে খাদ্যপণ্য রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে দেশটির সামরিক জান্তা সরকার। ফলে এখন থেকে কেবল রাখাইনের সিতওয়ে হয়ে চাল, পেঁয়াজ ও ডালসহ পণ্য রপ্তানি করা যাবে। ১ সেপ্টেম্বর এক আদেশে এ কথা জানিয়েছে দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। গত সোমবার থেকে এই আদেশ কার্যকর করা হয়েছে বলে খবর বেরিয়েছে মিয়ানমার নাউ পত্রিকায়।
বাংলাদেশের সোনালী ব্যাংক সম্প্রতি দেশটির দুটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের হিসাব জব্দ করেছে। এর প্রতিক্রিয়ায় জান্তা সরকার মংডু দিয়ে বাণিজ্য বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে মিয়ানমার নাউয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
মিয়ানমারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক মিন্ট থুরা সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, সোনালী ব্যাংক যে পদক্ষেপ নিয়েছে, তাতে সীমান্তে চোরাচালান ও মানব পাচার বাড়বে। চোরাচালান প্রতিরোধের জন্য সিতওয়ে হয়ে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য চালাতে বলা হয়েছে।
নাফ নদীর এক তীরে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের নদীবন্দর মংডু এবং অন্য তীরে বাংলাদেশের টেকনাফ। এই দুই বন্দর দিয়ে দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়ে থাকে।
মিয়ানমার থেকে নাফ নদী দিয়ে বাংলাদেশে পণ্য প্রবেশ বন্ধ হলেও দেশে তেমন কোনো প্রভাব পড়বে না বলে মনে করছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ। গতকাল শনিবার তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, মিয়ানমার থেকে আইপিওয়ের মাধ্যমে অল্প পরিমাণে চিনি, পেঁয়াজ আমদানি হতো। নাফ নদী দিয়ে এগুলোর আমদানি বন্ধ হলে মোট আমদানির ওপর তেমন কোনো প্রভাব পড়বে না।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের এপ্রিল থেকে আগস্ট পর্যন্ত মিয়ানমার থেকে প্রায় ৪৫ লাখ ডলার মূল্যের পণ্য মংডু হয়ে বাংলাদেশে রপ্তানি হয়েছে।