মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার মুক্তারপুরের মল্লিক রায় দিঘি থেকে অর্ধগলিত লাশ উদ্ধারের ঘটনায় ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে তিনজন সরাসরি হত্যার সঙ্গে জড়িত ও বাকি দুজন চোরাই মাল কেনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
এ ঘটনায় হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করেছে বলে দাবি করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেন মুন্সিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) সুমন দেব।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন, মুসা সরকার (৪৫), তাঁর দুই সহযোগী নজরুল ফরাজী (৩০) ও সবুজ চৌকিদার (২৮) এবং চোরাই মাল ক্রয়ের সঙ্গে জড়িতরা হলেন-আবুল হোসেন (৪০) ও মোখলেস হোসেন (৩৮)।
মুন্সিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) সুমন দেব সংবাদ সম্মেলনে জানান, গত ১৪ জানুয়ারি অটোরিকশা চুরির উদ্দেশে হিমেল মীর (২৩) নামে ওই যুবককে আসামি মুসার ঘরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁকে নেশা জাতীয় পানীয় পান করানো হয়। একপর্যায়ে হিমেল অচেতন হয়ে গেলে মুসা ও তাঁর দুই সহযোগী মিলে হিমেলের অণ্ডকোষ চেপে ধরে হত্যা করে তাঁকে। পরে হিমেলের হাত-পা বেঁধে বস্তার ভেতর ঢুকিয়ে ওই দিন রাত ১১ দিকে মল্লিক রায় দিঘিতে ফেলে দেন তাঁরা।
পরে সেই অটোরিকশা ২২ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেন আসামিরা। গত ১৮ জানুয়ারি হিমেলের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় প্রথমে নিহতের পরিচয় শনাক্ত না হওয়ায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে।
পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, হিমেলের ভাড়ায়চালিত রিকশার জন্যই তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। যারা হত্যার সঙ্গে জড়িত তাঁরা সবাই চোর চক্রের সদস্য।