পীরগাছায় ঠিকাদারের কাজ করা এক ব্যবসায়ী এবং আওয়ামী লীগের এক নেতাকে মারধরের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে গতকাল বুধবার থানায় মামলা হয়েছে।
ব্যবসায়ীর নাম হারুন অর রশিদ রাসেল। তিনি তাম্বুলপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান রওশন জমির রবু সরদারের ছেলে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ নেতা শাহিন সরদার দলের তাম্বুলপুর ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক।
অভিযোগ রয়েছে, শাহিন ও তাঁর লোকজন রাসেলকে ব্যাপক মারধর ও কুপিয়ে জখম করেছেন। গত মঙ্গলবার ইফতারের আগ মুহূর্তে উপজেলার কামারের হাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে এই হামলা চালানো হয়। এ সময় প্রায় ৩০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেন হামলাকারীরা।
রাসেলের ভাই রাশেদ বলেন, উপজেলার তিস্তার তীরে বেক্সিমকো পাওয়ার প্ল্যান্টের সাব-ঠিকাদার হিসেবে রাসেল কাজ করছেন। তিনি মঙ্গলবার বাড়িতে আসার পথে শাহিন ও তাঁর সঙ্গের ১০ থেকে ১২ ব্যক্তি রাসেলের পথরোধ করে লাঠি ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এ সময় তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তাঁর কাছে থাকা টাকা ছিনিয়ে পালিয়ে যান হামলাকারীরা।
স্থানীয় লোকজন পরে রাসেলকে উদ্ধার করে পীরগাছা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে রাতেই তাঁকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।
সাবেক চেয়ারম্যান রওশন বলেন, ‘আমার ছেলে সঙ্গে শাহিন সরদারের কোনো শত্রুতা নেই। কী কারণে এভাবে মারল জানি না। শাহিন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তাই প্রভাব খাঁটিয়ে এ ধরনের কাজ করেও আমাদের নামে মিথ্যা মামলা করেছেন।’
এদিকে, শাহিনের দাবি রাত ১টার দিকে ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান বজলুর রশিদ মুকুলের বাড়ির সামনের সড়কে তাঁর ওপর হামলা চালানো হয়েছে। এ ঘটনায় গতকাল শাহিনের ভাই পীরগাছা থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ তা মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করে।
এ বিষয়ে শাহিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি রাসেলকে মারধরের বিষয়টি এড়িয়ে যান এবং নিজের ওপর হামলার বিষয়টি জানান।
পীরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরেস চন্দ্র বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নেতা শাহিন সরদারের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। চেয়ারম্যানপুত্র রাসেলকে মারপিটের বিষয়ে কেউ আমাদের জানায়নি এবং কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।’