হোম > ছাপা সংস্করণ

সচেতনতার অভাবকে দুষছেন সংশ্লিষ্টরা

মাইনউদ্দিন শাহেদ, কক্সবাজার

কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের সি-গাল পয়েন্টে পর্যটকদের সতর্কতায় জেলা প্রশাসনের একটি নির্দেশিকা-সংবলিত সাইনবোর্ড রয়েছে। এতে লেখা আছে, এখানে গুপ্ত গর্ত ও স্রোত আছে, এই জায়গায় না নামার জন্য অনুরোধ করা হলো। এই রকম নির্দেশিকা সৈকতের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি স্থানে টাঙানো আছে। কিন্তু পর্যটকেরা সৈকতে নেমেই আনন্দ-উচ্ছ্বাসে এসব নির্দেশিকা ভুলে যান, মানেন না কোনো কিছু।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশের প্রধান পর্যটনকেন্দ্র কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের ১২০ কিলোমিটারের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পর্যটক সমাগম হয় শহরের লাবণী, সুগন্ধা, কলাতলী, সি-গাল ও ডায়াবেটিক পয়েন্ট এলাকায়। এসব পয়েন্টে গত পাঁচ বছরে অন্তত ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। বেশ কয়েকজন গোসলে নেমে নিখোঁজ রয়েছে। পর্যটকদের সচেতনতার অভাবেই প্রতিবছর অবকাশে এসে মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায়, সাঁতার না জানা ও গুপ্ত গর্তে পড়ে মৃত্যু ঘটছে।

গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসেই সিগাল পয়েন্টে গোসলে নেমে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। সর্বশেষ গত শুক্রবার সৈকতের কলাতলী পয়েন্টে পাঁচ বন্ধু গোসলে নেমে সাগরে তলিয়ে যান দুজন। এর মধ্যে শাহেদ হোসেন বাপ্পী নামের রামু কলেজের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়। এ ধরনের মৃত্যুর ঘটনা নতুন নয়।

গত বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর সৈকতে গোসলে নামতে জেলা প্রশাসন ১০টি সচেতনতামূলক নির্দেশনা দিয়ে প্রচারণা ও সাইনবোর্ড টাঙিয়ে দেয় বলে জানান সৈকতকর্মী বেলাল হোসেন।

সৈকতে বিপন্ন পর্যটকদের উদ্ধারে সুসজ্জিত লাইফ গার্ড, পুলিশ ও সৈকতকর্মী রয়েছে। এ ছাড়া সৈকতের বিচবাইক ও ওয়াটার বাইকসহ বিভিন্ন ক্ষুদ্র পর্যটন ব্যবসায়ীরা পর্যটকদের নানাভাবে নির্দেশনা দিয়ে সহযোগিতা করে আসছে।

কয়েকজন সৈকতকর্মীর সঙ্গে আলাপে জানা গেছে, এ পর্যন্ত সৈকতে বন্ধুবান্ধব নিয়ে দল বেঁধে নেমেই মৃত্যুর শিকার হয়েছেন তরুণ ও যুবকেরা। তাঁদের সিংহভাগই জোয়ার-ভাটার নির্দেশিকা না মেনেই বিপদের সম্মুখীন হয়েছেন।

১২ মার্চ সৈকতে ডুবে মৃত্যু প্রতিরোধে জেলা প্রশাসন ও সি সেফের উদ্যোগে সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানো হয়। সি সেফের ১৭ জন লাইফ গার্ড সৈকতের লাবণী থেকে কলাতলী পয়েন্ট পর্যন্ত তিন কিলোমিটার জায়গায় পর্যটকদের নজরদারি করতে পারেন। বাকি জায়গা থাকে অরক্ষিত।

ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার জোনের পুলিশ সুপার (এসপি) জিল্লুর রহমান বলেন, সৈকতের অনেক জায়গায় গুপ্ত খাল ও গর্ত তৈরি হয়, যা বোঝা মুশকিল। এতে কোনো পর্যটক ভাটার সময় গোসলে নামলে স্রোতের টানে গর্তে পড়ে ডুবে মারা যান। অনেকেই দীর্ঘক্ষণ সাগরে গোসল করে ক্লান্ত হয়ে পড়েন অথবা ক্লান্ত শরীর নিয়ে সাগরে নামেন, তাঁদের ক্ষেত্রেও দুর্ঘটনা ঘটে।

এসপি জিল্লুর রহমান বলেন, পর্যটকদের ভাটার সময় সাগরে গোসলে না নামতে সতর্ক করে নিয়মিত প্রচারণা চালানো হয়। এ ক্ষেত্রে কেউ শোনেন, কেউ শোনেন না।

কক্সবাজার সৈকত ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ বলেন, পর্যটকদের নিরাপদ গোসলের জন্য লাবণী, সুগন্ধা ও কলাতলী পয়েন্টে বিশেষ ‘সুইমিং জোন’ করা হয়েছে। সেখানে সাগরে নামতে নির্দেশিকাও রয়েছে। এসব পয়েন্টে পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তায় ট্যুরিস্ট পুলিশ, লাইফ গার্ডকর্মী ও জেলা প্রশাসনের বিচকর্মীরা দায়িত্ব পালন করছেন।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ