বোরো ধানের বীজতলা পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন কিশোরগঞ্জের হাওরাঞ্চলের কৃষক। চলতি বছর দ্রুত পানি নেমে যাওয়ায় বোরো চাষের প্রস্তুতিতেই খুশি দেশের খাদ্যভান্ডার খ্যাত হাওরাঞ্চলের চাষিরা। সামনে আবহাওয়ার বৈরিতা না থাকলে, চলতি বোরো মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি ফলনের আশা করছে জেলা কৃষি বিভাগ।
জেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, কিশোরগঞ্জের চলতি বছর জেলায় ১ লাখ ৬৪ হাজার ৪৮৫ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ অঞ্চলের কৃষকেরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন বীজতলার পরিচর্যায়। পাশাপাশি জমি তৈরি করছেন ধানের চারা রোপণের জন্য। প্রতিবছরই পোকামাকড়ের আক্রমণ ও আগাম বন্যা নিয়ে বোরো মৌসুমে শঙ্কিত থাকেন হাওরের চাষিরা। কিন্তু এবার হাওরের পানি দ্রুত নেমে যাওয়ায় আবাদের প্রস্তুতি নিয়ে খুশি তাঁরা। তাই হাওরাঞ্চলের বোরো ধানের বীজতলার জন্য এখন সবুজে সবুজে একাকার। তবে, ধানের ন্যায্যমূল্য নিয়ে কৃষকদের মধ্যে রয়েছে শঙ্কা।
জেলার ইটনা উপজেলার কৃষক আমির উদ্দিন বলেন, ‘হাওরের পানি আগেভাগে নেমে গেছে। তাই চলতি বোরো মৌসুমে বীজতলা তৈরি করতে আমাদের সুবিধা হয়েছে। এখন বীজতলা পরিচর্যার পাশাপাশি জমিও প্রস্তুত করছি। কয়েক দিনের মধ্যে ধানের চারা জমিতে লাগাতে পারব।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক কৃষক বলেন, ‘ডিজেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় আমরা বিপাকে আছি। এতে উৎপাদন খরচ বেড়ে যাবে এ বছর। ’
হাওরাঞ্চলের চাষিদের বোরো ধানের বীজতলা তৈরির বিভিন্ন পরামর্শসহ পাশে থাকার কথা আজকের পত্রিকাকে জানালেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণের উপপরিচালক মো. ছাইফুল আলম।
তিনি আরও বলেন, চলতি বছর জেলায় ১ লাখ ৬৪ হাজার ৪৮৫ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ধানের দাম ভালো, তাই এ মৌসুমে বোরো আবাদ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে আশা করা যাচ্ছে।