একযুগ আগে অবৈধভাবে বের করে দেওয়া হয় গাজীপুরের শ্রীপুর বীর মুক্তিযোদ্ধা রহমত আলী কলেজের অধ্যক্ষ তোফাজ্জল হোসেন আকন্দকে। তবে মন থেকে তা মেনে নিতে পারেননি। তাই চালিয়েছেন আইনি লড়াই। অবশেষে আদালতের নির্দেশে ১২ বছর পরে স্বপদে বহাল হন তিনি।
জানা যায়, গত ৩০ সেপ্টেম্বর গাজীপুরের পঞ্চম সিনিয়র জজ আদালত তাঁর স্বপদে বহাল রাখার আদেশ দেন। পরে যোগদানের জন্য ১৬ অক্টোবর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর আবেদন করেন তিনি।
তোফাজ্জল হোসেনের আইনজীবী এ এ এম আমানুল্লাহ ফরিদ বলেন, ২০০৯ সালে অধ্যক্ষকে সন্ত্রাসী কায়দায় কলেজ থেকে বের করে দেয় তৎকালীন পরিচালনা পরিষদ। পরে রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও পরিচালনা পরিষদকে ব্যবহার করে নুরুন্নবী আকন্দ ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব নেন। তোফাজ্জল হোসেন বিভিন্নভাবে চেষ্টা করেও কলেজে প্রবেশ করতে না পেরে আদালতের শরণাপন্ন হন। দীর্ঘদিন শুনানি শেষে তাঁকে স্বপদে বহাল রাখতে রায় দেন আদালত। এখন থেকে তাঁর দায়িত্ব পালনে আর কোনো বাধা রইল না।
অধ্যক্ষ তোফাজ্জল হোসেন আকন্দ বলেন, ‘২০০৫ সালে তিনি অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ পান। পরে ২০০৯ সালের কলেজের পরিচালনা পরিষদের সভায় জোর করে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে আমাকে বের করে দেওয়া হয়। একজন শিক্ষক হিসেবে এটা ছিল আমার চরম অপমান। তাই অন্যায় মেনে না নিয়ে আইনি লড়াই চালিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘বিধি অনুযায়ী চাকরির মেয়াদ আর কয়েক মাস আছে। এই সময়ে সুশৃঙ্খলভাবে দায়িত্ব পালন করতে চাই।’
কলেজের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার তরিকুল ইসলাম বলেন, তিনি মামলার আদেশের কপিসহ যোগদানের অনুমতি চেয়েছেন। আদালতের আদেশ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, তোফাজ্জল হোসেনকে বিতাড়িত করে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব নেন প্রভাষক নুরুন্নবী আকন্দ। গত তিন বছর ধরে ঢাকার বাসায় বসে কলেজের দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।