হোম > ছাপা সংস্করণ

ইউপি নির্বাচন ঘিরে বাড়ছে সহিংসতা

সেলিম হোসাইন, ফুলবাড়িয়া

ফুলবাড়িয়া উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের সময় যত ঘনিয়ে আসছে, নৌকা আর স্বতন্ত্র প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণায় সহিংসতা, নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনা ততই বাড়ছে। প্রায়ই ঘটছে সংঘর্ষের ঘটনা। আগামী ১১ নভেম্বর দ্বিতীয় ধাপে ফুলবাড়িয়ার সব কটি ইউপির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

স্থানীয় ও দলীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৩১ অক্টোবর রাতে এনায়েতপুর ইউপির দোলমা গ্রামের সাপমারা এলাকায় নৌকার সমর্থকেরা স্বতন্ত্র (ঘোড়া প্রতীকের) প্রার্থীর নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর চালিয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। বর্তমান চেয়ারম্যান মো. কবীর হোসেন তালুকদার এ অভিযোগ তোলেন। এ ঘটনায় দশজন আহত হওয়ার খবর মিলেছে। আহতদের মধ্যে একজনকে শেষ পর্যন্ত জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (নিটোর) স্থানান্তর করা হয়।

অবশ্য নৌকার প্রার্থী মো. বুলবুল হোসেন পাল্টা অভিযোগ করে বলেছেন, তাঁর বিরুদ্ধে শুরু থেকেই ষড়যন্ত্র করছে স্বতন্ত্র প্রার্থী কবির হোসেন। আর স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. কবীর হোসেন তালুকদার বলেন, রাতে নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে তাঁর লোকজনকে আহত করেছে, অফিসে ভাঙচুর করেছে। প্রচার মাইক ভেঙে ফেলেছে ও পোস্টার লাগাতে গেলে মারধর করেছে বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি।

জানা গেছে, প্রতীক বরাদ্দের পর আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ৩০-৩৫ জন আহত হয়েছেন। নাওগাঁও ইউপির সন্তোষপুর কান্দুর বাজারে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী আব্দুর রাজ্জাক ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আনারস মার্কার মোজাম্মেল হোসেন মোজার সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে ৫-৬ জন আহত হয়েছে। গত ২৯ অক্টোবর এ ঘটনা ঘটে। পরদিন আনারস প্রতীকের পোস্টার ছিঁড়ে পুড়িয়ে ফেলারও অভিযোগ করেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মোজাম্মেল হোসেন মোজা।

তবে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আব্দুর রাজ্জাক জানান, নৌকার প্রচার কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনায় এ সংঘর্ষ হয়। তাঁর দুই কর্মীকে আহত করা হয়েছে। থানায় মামলাও হয়েছে বলে তিনি জানান। তবে মোজাম্মেল হোসেন মোজা জানান, তাঁদের নির্বাচনী প্রচার কার্যালয় করতে না দেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে তাঁর পাঁচ কর্মী আহত হন। এর মধ্যে একজনের মাথায় আঘাত করায় তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ ছাড়া কালাদহ ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. ইমান আলী মাস্টার এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. নজরুল ইসলাম মাস্টারের কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। উপজেলার বাক্তা, আছিম-পাটুলী, ভবানীপুর ইউনিয়নেও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী বলেন, ‘আমার পোস্টার ছিঁড়ে ফেলেছে নৌকার কর্মীরা। তাঁরা আমার সাধারণ ভোটারদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন। ইতিমধ্যে নির্বাচন প্রচার কেন্দ্রিক সংঘর্ষের ছবি, ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এর ফলে সাধারণ ভোটারদের মাঝে উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা কাজ করছে।’

ফুলবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্লা জাকির হোসেন বলেন, ‘নাওগাঁও ইউনিয়নের নির্বাচনী সংঘর্ষের স্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশরাফুল ছিদ্দিক বলেন, ‘বিভিন্ন ইউপিতে নির্বাচনী সহিংসতার অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়ে সঙ্গে সঙ্গেই ব্যবস্থা নিচ্ছি। কোনোভাবেই আইনশৃঙ্খলার অবনতি হতে দেব না। রিটার্নিং কর্মকর্তারা আমাকে অবহিত করলে সঙ্গে সঙ্গেই ব্যবস্থা নিচ্ছি।’

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ